বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহালয়া থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকে। কলকাতার বহু প্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে মানুষের ঢল। এই উৎসবের আবহের মধ্যেই রাজ্যের বন্যা বিধ্বস্ত গ্রামীণ এলাকাগুলির রাস্তা সারাতে তৎপর রাজ্য (Government of West Bengal)।
জেলাশাসকদের থেকে চাওয়া হল রিপোর্ট (Government of West Bengal)!
দুর্গাপুজোর আগে বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বানভাসি অবস্থা হয়েছিল। বিপর্যস্ত হয়েছিল জনজীবন। একদিকে লাগাতার বৃষ্টি, অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জল, দুইয়ের জোড়া ফলায় প্লাবিত হয়েছিল বহু জায়গা। এবার জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগে জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের বন্যা বিধ্বস্ত গ্রামীণ এলাকার রাস্তা, কালভার্ট মেরামতির কাজ শুরু করে দিতে চায় নবান্ন (Nabanna)।
এই মেরামতির জন্য কত টাকা দরকার হবে? পঞ্চদশ অর্থ কমিশন অথবা অন্য কোনও টাকা থেকে খরচ করার সুযোগ রয়েছে কিনা সেটা রিপোর্ট আকারে জেলাশাসকদের জমা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন (Government of West Bengal)।
আরও পড়ুনঃ সন্দীপের ‘খাস লোক’! আরজি কর দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার, আশিস পাণ্ডের আসল পরিচয় মাথা ঘুরিয়ে দেবে
চলতি বছর বর্ষায় বাংলায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার বর্ষণ এবং ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি অবস্থা হয়েছিল একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে এই পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছিলেন। এরপর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব উত্থাপনের পাশাপাশি ডিভিসির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন।
রাজ্যের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলেছিলেন, এই কষ্ট চোখে দেখা যায় না! একইসঙ্গে বন্যা বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যার জেরে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, শস্যবিমায় কৃষকদের টাকা প্রদান, একগুচ্ছ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এবার যেমন বন্যার কারণে বিধ্বস্ত রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট মেরামতির কাজে উদ্যোগী রাজ্য (Government of West Bengal)। পুজোর আগেই এই কাজ শুরু করে দিতে চাইছে নবান্ন।