বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) রাজ্যের মৌজা ম্যাপ বা মানচিত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করছে। যার মূল লক্ষ্য ভূমি রেকর্ড আপডেট করা। উল্লেখ্য, শতবর্ষ অতিক্রান্ত হলেও রাজ্যে থাকা জমিভিত্তিক মৌজার মানচিত্রের সংস্কার হয়নি। এবারে ২০২৫ সালে এসে বাংলায় (west Bengal) নতুন করে মানচিত্র (Mouza Map) তৈরি করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার।
বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার- Government of West Bengal
জানা যাচ্ছে, নতুন মৌজার মানচিত্র প্রস্তুত করতে রাজ্য সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য স্যাটেলাইট ছবি, জিও-ট্যাগিং ক্যামেরা এবং ড্রোনের সাহায্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর প্রতিটি মৌজার জন্য তথ্য পর্যালোচনা করে মানচিত্র চূড়ান্ত করবে।
বিগত ১০০ বছরে মাঝে কিছু সংশোধন করা হলেও তারপর মাঝের বহু বছরে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে চিত্র। আগের অনেক গ্রামই এখন আধুনিক শহর। জায়গায় জায়গায় গড়ে উঠেছে শিল্প কারখানা। রাস্তাঘাট, এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেললাইন সব মিলিয়ে আমূল বদলে গিয়েছে গোটা চিত্র। তাই এই অবস্থায় মৌজা ম্যাপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪২,৩০২টি মৌজা রয়েছে। প্রস্তুত করা হবে মোট ৬৮,৪৫৩টি মৌজার মানচিত্র। জল-ভিত্তিক দ্বীপপুঞ্জ সহ মৌজার জন্য পৃথক মানচিত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের হয়ে ‘ডিরেক্টরেট অফ ল্যান্ড রেকর্ডস অ্যান্ড সার্ভে’ বিভাগ এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে।
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৌজা ম্যাপ গড়ে উঠলেও প্রত্যেকটি মৌজা ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে মৌজা ম্যাপ গড়ে উঠলে গোটা রাজ্যের ভূমি-মানচিত্র বিরাট বদলে যাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে মোট তিন ধাপে এই সমীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’! রাজ্যের চিকিৎসকদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
প্রথম পর্যায়: হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলা অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিতীয় পর্যায়: উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং নদিয়া অন্তর্ভুক্ত।
তৃতীয় পর্যায়: কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, কালিম্পং এবং দার্জিলিং এই সব জেলাগুলি অন্তর্ভুক্ত।