বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রয়েছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ একাধিক রাজ্য সরকারি (Government Of West Bengal) প্রকল্প। তেমনই রাজ্য সরকারের এক অভিনব উদ্যোগের নাম ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapno) প্রকল্প। এর মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়ারাদের এককালীন ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
কারা পাবে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা?
মূলত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রী অর্থাৎ একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে রাজ্য সরকারের তরফে। সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের পাশাপাশি, মাদ্রাসা এবং সংখ্যালঘু বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও এই সুবিধা পেয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা যাতে উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কবে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে?
৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। প্রতিবারের মতো এ বারের শিক্ষক দিবসেও রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল ফোন কেনার জন্য এই ১০০০০ টাকা হাতে তুলে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানা যাচ্ছে, শিক্ষক দিবসের দিনই বাংলার ১৬ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর (Students) অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।
২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকেই শিক্ষার ডিজিটালকরণে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে রাজ্যের পড়ুয়াদের মোবাইল এবং ট্যাবলেটের মাধ্যমে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহারে সুবিধা হয়।
এই প্রকল্পে (Government Scheme) আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত কোনও স্কুল অথবা মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত হতে হবে। পড়ুয়ার পারিবারিক আয় হতে হবে বছরে ২ লাখ টাকার মধ্যে। তবে কেবল মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেই এই টাকা মিলবে না, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও হতে হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের এই তারিখ বাড়ছে DA, কাদের বাড়তি কত টাকা পকেটে আসবে? দেখুন পরিষ্কার হিসেব
মাধ্যমিকের মার্কশিটের কপি, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নথি, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড ইত্যাদি প্রমাণ হিসেবে জমা করলে তবেই পাওয়া যাবে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের সুবিধা। পাশাপাশি ওই টাকা দিয়ে মোবাইল বা ট্যাব কিনে অবশ্যই সেই রসিদ বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।