বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। প্রতিবারের মতো এ বারের শিক্ষক দিবসেও রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল ফোন কেনার জন্য টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। জানা গিয়েছে শিক্ষক দিবসের দিনই বাংলার ১৬ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর (Students) অ্যাকাউন্টে ট্যাব কিংবা মোবাইল কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার।
ডিজিটালকরণে জোর রাজ্যের (Government Of West Bengal)…
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পড়ুয়াদের ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মূলত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রী অর্থাৎ একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে রাজ্য সরকারের তরফে। সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের পাশাপাশি, মাদ্রাসা এবং সংখ্যালঘু বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও এই সুবিধা পেয়ে থাকে।
কোভিডের সময় থেকেই শিক্ষার ডিজিটালকরণে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ডিজিটাল শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষিত করতে মোবাইল এবং ট্যাবলেটের মাধ্যমে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহারে সুবিধা হয়। রাজ্য সরকারের এই অভিনব উদ্যোগের নাম ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapno) প্রকল্প।
কোভিডকালে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে পড়াশোনা সুবিধার্থে সরকার দ্বারা চালু করা হয় তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়ারা ১০,০০০ টাকা পায়। তবে শুধুমাত্র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই এই প্রকল্পের অধীনে এই আর্থিক সাহায্য পান। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাকে প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত করতে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার তরফে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে ট্যাব, পিসি, স্মার্টফোন (Smartphone) কিনতে হয় পড়ুয়াদের। মাধ্যমিক পাশ করলেই সরকারের তরফে এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।
জানা গিয়েছে, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সেখানে প্রতীকী ভাবে ছাত্রছাত্রীদের হাতে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অর্থ তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিনই রাজ্যজুড়ে বাকি ১৬ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর অ্যাকাউন্টেও এই টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘উইলফুল রেপ…’! আরজি কর কাণ্ড ঘিরে ফের বিতর্ক, FIR-এর কাগজ হাতে আসতেই তোলপাড়!
তবে বর্তমানে রাজ্য জুড়ে যখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি সেই সময় মমতার এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘তরুণের স্বপ্নের প্রকল্পের টাকা এ বছর কেন এত তাড়াহুড়ো করে দেওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝতে কারও বাকি নেই। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীরাও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হয়েছ তাই এই সময় টাকা দিয়ে তাদের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করতে চাইছে সরকার। যদিনো লাভ হবে না।” যদিও শাসক শিবিরের পাল্টা দাবি, এই প্রথম এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। করোনার সময় থেকে প্রতিবারই দেওয়া হয়ে থাকে।