বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েক মুহূর্তের ঝড়! তাতেই তছনছ হয়ে যায় জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির বহু এলাকা। গত ৩১ মার্চের এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বহু পরিবার। সেদিন রাতেই উত্তরবঙ্গ ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। এবার তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সাহায্যের ঘোষণা করলেন। সেই সঙ্গেই জানালেন, এর জন্য তিনি জেলে যেতেও প্রস্তুত।
শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বার্নিশ এলাকায় যান অভিষেক। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সেকেন্ড ইন কমান্ড। এরপরেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্ধারিত অঙ্কের বাইরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ত্রাণ সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। অভিষেক জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকল পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই ঘর তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে রাজ্যজুড়ে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ায় রাজ্য সরকার দুর্গতদের (Jalpaiguri Storm Victims) সরাসরি বাড়ি তৈরি করে দিতে পারে না। এর জন্য কমিশনের অনুমতি দরকার। তবে কমিশন সেই অনুমতি দেয়নি। বরং জানায়, আপাতত দুর্গতদের বাড়ি তৈরি করে দিতে পারবে না রাজ্য। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঠিক করতে আর্থিক সাহায্য করতে অসুবিধা নেই। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি সারাতে ২০,০০০ এবং কম ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি সারাতে ৫,০০০ টাকা দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ দেবের দিন শেষ? চমক দেখাতে পারেন সায়নী! নিশীথ নিয়ে বাড়ছে চিন্তা, প্রকাশ্যে ভোট সমীক্ষার ফলাফল
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ৬৩২টি পরিবারের মধ্যে ৪৪০ জনের অ্যাকাউন্টে ২০,০০০ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের আক্ষেপ, বাড়ি তৈরিতে আরও টাকার দরকার। এই অর্থ দিয়ে টিনের ছাউনি দেওয়া ঘর বানানো যাবে না। গতকাল ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে আরও ৪০,০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছেন। বাড়ি তৈরি করতে এই টাকা দরকার। এর জন্য যদি জেলে যেতে হয় যাব’।
তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ নিজে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করায় খুশি দুর্গতরা। মার্চ মাসের তছনছ করে দেওয়া ঝড়ে নিজের বাবাকে হারিয়েছেন নারায়ণ রায়। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ধূপগুড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই নারায়ণ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেখা করেননি। তবে অভিষেক নিজে এসে দেখা করলেন। ভালো লাগলো, আমরা ভরসা পেলাম’।