বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় দু’মাস ধরে দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই চলার পর সম্প্রতি তাতে ইতি পড়েছে। আর তারপরেই আবাস যোজনা নিয়ে সক্রিয় হয়ে গিয়েছে নবান্ন। কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে এই অভিযোগ তুলে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দরকার হলে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) নিজের তহবিল থেকে ঘর তৈরির টাকা দেবে। এবার এই নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট।
আগেই জানানো হয়েছিল, আবাস যোজনায় (Awas Yojana) বাংলার ১১ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তবে গত কয়েক মাসে আরও বহু মানুষ আবেদন করেছেন। সেই কারণে ঠিক হয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু করা হবে সমীক্ষার কাজ। জানা যাচ্ছে, রাজ্য প্রশাসনের কাছে যত আবেদন জমা পড়েছে, এর মধ্যে প্রকৃত আবেদনকারীদের চিহ্নিত করে আবাস তৈরির কাজ শুরু করা হবে।
গত কয়েক মাসে আবাস যোজনায় আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, বহু গরিব মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নিজেদের ঘর বাড়ি হারিয়েছেন। সেই কারণে তাঁরাও আবাস যোজনার বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে আবার অনেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনের মাধ্যমেও অ্যাপ্লাই করেছেন।
আরও পড়ুনঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডে নয়া মোড়! ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পুলিশের, চার্জশিটে কাদের নাম?
জানা যাচ্ছে, এসব বিষয়গুলিকে একসঙ্গে করেই সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। কোনও প্রকৃত আশ্রয়হীন যাতে বঞ্চিত না হন এবং অসৎ কোনও ব্যক্তি যাতে সুযোগ না পান, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সমীক্ষার কাজে ব্লকের বিডিও থেকে মহকুমা শাসক, সবাইকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য নীচুতলায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্নের একজন আধিকারিক বলেন, এর আগে কেন্দ্রের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন গিরিরাজ সিং। আবাস থেকে শুরু করে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, এসব নিয়ে তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, নতুন সরকার তৈরি হওয়ার পর নতুন মন্ত্রী এলে সেই পরিস্থিতি হবে না। তবে মোদী ৩.০ সরকারে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর এসেছে NDA শরিক জেডি (ইউ)র লল্লন সিংয়ের কাছে।
BJP-র ভেতর শিবরাজ ‘নরমপন্থী’ নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও রাজ্যের দাবিদাওয়া মেনে কতখানি টাকা বরাদ্দ করবেন তা নিয়ে নবান্নের আধিকারিকদের একাংশের সংশয় রয়েছে। সেই কারণে আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকার ‘একলা চলো’ নীতিই অনুসরণ করছে বলে খবর।