বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একেই দুর্নীতির (Recruitment Scam) জেরে শিক্ষক (Teachers) নিয়োগ ঘিরে বেহাল দশা রাজ্যের। এরই মধ্যে নয়া বছরের শুরুতেই শিক্ষকদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার। এবার র্যাশনালাইজেশন পদ্ধতিতে বদলির পথে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।
আশঙ্কায় শিক্ষিকেরা-Teachers
সম্প্রতি রাজ্যের কোন সরকারি স্কুলে কোথায় কত শিক্ষক রয়েছেন কত দিন ধরে তারা ওই স্কুলে কর্মরত, এই সমস্ত তথ্য তলব করেছে বিকাশ ভবন। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল এডুকেশন কমিশন (School Education Commission)। রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই আশঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষকরা।
রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকের নিয়োগ হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। এদিকে ২০১৪ সালে শেষবার এই পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে এই স্কুলগুলিতে। বর্তমানে ২০২৫ সাল। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি এই স্কুলগুলিতে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কুলগুলিতে প্রচুর শূন্যস্থান তৈরী হয়েছে।
বিগত ১০-১১ বছর ধরে নিয়োগ না হওয়ায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে শিক্ষক-শিক্ষিকার শূন্যপদ রয়েছে। এই আবহেই এবার সরকারি স্কুলে কোথায় কত শিক্ষক রয়েছেন সেই সংক্রান্ত তথ্য তলব শিক্ষাদফতরের। শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ শূন্যপদ রয়েছে।
যদিও শিক্ষাদফতরের এই ‘হুকুম’ ভালো ভাবে নেননি শিক্ষকমহলের একাংশ। তাদের মধ্যে কয়েকজনের দাবি, এমনিতেই প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের পথ শূন্য। সহকারি প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা ছাড়াই স্কুল চলছে। এই অবস্থায় বিকাশ ভবনের এই নির্দেশের পর একটি হুমকি তথা থ্রেট কালচারের মত।
আরও পড়ুন: তিন আর চার! ফেব্রুয়ারীতেই বাড়ছে বাংলার সরকারি কর্মীদের DA? যা আপডেট আসছে…
তাদের কথায়, বেশ কিছু সময় শিক্ষক বদলি থমকে ছিল। এই সময়ে দাঁড়িয়ে অনেক সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা বাড়ির কাছে বদলির জন্য আবেদন করেছেন। এদিকে সরকার র্যাশনালাইজেশন-র নামে নিয়োগ না করে শিক্ষকদের (Teachers) বদলি করতে চলেছে।এভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক প্রকার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।