স্কুল শিক্ষক হয়েও টিউশন পড়ালে শাস্তি, চাকরি যাবার সঙ্গে বন্ধ হবে পেনশনও! নির্দেশিকা শিক্ষা দফতরের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুলে ক্লাস হবার সত্বেও বেশিরভাগ পড়ুয়ারাই সেই স্কুলের শিক্ষকের কাছে গৃহশিক্ষকতা পাঠ নেওয়ার জন্য ছুটে যায়। একটু বেশি গাইডেন্স, সেই সঙ্গে বাড়তি নম্বরের আশা- এই দুইয়ে মিলিয়েই পড়ুয়াদের ভরসার একমাত্র জায়গা টিউশন। কিন্তু, এবার কড়া নির্দেশিকা জারি হল সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য। গৃহশিক্ষকতা হোক কিংবা কোনও কোচিং সেন্টার, তারা আর টিউশন পড়াতে পারবেন না বলেই জানাল রাজ্য শিক্ষা দফতর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল সরকারি স্কুলশিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতার বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু তারপরেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গৃহশিক্ষকতা করার অভিযোগ আসতে শুরু করে নানা জায়গা থেকে। তাই এবার এই ইস্যুতেই শিক্ষা দফতর আরও খানিকটা কড়া হয়েছে। শিক্ষা দফতর ২৭ জুন এই নির্দেশিকা দিয়েছে। একটি নির্দেশিকা জারি করে তা পাঠানো হয়েছে সমস্ত সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছে। পাশাপাশি, প্রতিটি জেলার স্কুল পরিদর্শকদের কাছেও ওই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পৌঁছে গিয়েছে।

কী বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়?

১) সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গৃহশিক্ষকতায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

২) কোনও ধরনের কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না।

৩) বিনামূল্যেও টিউশনের ক্ষেত্রেও তাদের অনুমতি দেওয়া হয় নি।jpg 20220630 163647 0000

সূত্রের খবর, এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুল শিক্ষা দফতরের এই নিয়ম অমান্য করলে সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত পর্যন্ত করা হতে পারে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে ওই ব্যক্তির পেনশন পেতেও সমস্যা হতে পারে। এই নির্দেশ যাতে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেনে চলা হয় তার জন্য রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের যথেষ্ট তৎপর হয়ে উঠেছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর