বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর বহু মানুষ পেনশনের (Pension) টাকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। সেই টাকাতেই সংসার চলে অনেকের। এবার সেই পেনশনভোগীদের জন্যই বড় খবর! যত দ্রুত সম্ভব সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত বর্ধিত পেনশন প্রকল্প চালু করা হোক, এবার সেই দাবি তোলা হল।
পেনশন (Pension) নিয়ে বিরাট দাবি!
রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে এই মর্মে একটি রায় দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, বিদ্যমান কর্মীরা এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (ইপিএস), ১৯৯৫ -এর (Employees Pension Scheme) অধীন উচ্চতর পেনশন বাছতে পারেন। এবার এই বিষয়টিই অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি তুললেন আরএসপি সাংসদ এনকে প্রেমাচন্দ্রন।
জানা যাচ্ছে, জিরো আওয়ারে এই ইস্যু উত্থাপন করেন প্রেমাচন্দ্রন (NK Premachandran)। দাবি করেন, ইপিএস ১৯৯৫-এর অধীন কর্মীরা উচ্চতর পেনশন পাওয়ার অধিকারী। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের ৭ আগস্ট অবধি উচ্চতর পেনশনের জন্য ১৭,৪৮,৭৭৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ইপিএফও-র তরফ থেকে মাত্র ৮৪০১ জনকে উচ্চতর পেনশন দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আবাসে টাকা দিয়েছে রাজ্য! ‘কাটমানি’ চাইলেই কড়া অ্যাকশন! নেতা-কর্মীদের ‘সতর্ক’ করল তৃণমূল
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে দ্য এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম ১৯৯৫ (ইপিএস ৯৫) আনা হয়েছিল। এটি একটি ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ’ যা কিনা সংগঠিত খাতের কর্মীদের অবসরকালীন চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। এই প্রকল্প পরিচালনা করে ইপিএফও। এর মাধ্যমে ৫৮ বছর বয়সি যোগ্য কর্মীদের পেনশন (Pension) সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে বিজেপি সাংসদ অরুণ গোভিল আবার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন জগতের টেকনিশিয়ান এবং সাপোর্ট স্টাফদের সোশ্যাল সিকিউরিটি এবং স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রাক্টের বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, প্রযোজকরা এই ব্যক্তিদের শোষণ করছে। এমনকি চুক্তিগুলিও প্রযোজকদের তরফেই থাকে। ফলে এই ধরণের কর্মীদের উপর শ্রম আইন কার্যকর করা উচিত এবং তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, হেলথ বেনিফিট এবং ওভার টাইমের জন্য যথাযথ টাকা প্রদানের দাবি জানান অরুণ।