বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো যাবে না , এই আইন বহু দিন ধরেই রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি শিক্ষকরা টিউশনি পড়িয়ে যাচ্ছেন । কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা নিজের এই প্রাইভেট টিউশনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন যে, ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকের মধ্যে এই ধারনা বদ্ধমূল হয়েছে যে অমুক শিক্ষকের কাছে না পড়লে বিদ্যালয়ে ভালো ফল করা যাবে না।
সোমবার উত্তর দিনাজপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষা দপ্তর জানায়, জেলার স্কুলগুলির কোনো শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত নয় তা নিশ্চিত করতে হবে
নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষা দপ্তর থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, আগামী ১০ই জানুয়ারি থেকে সরকারী বা সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আর গৃহশিক্ষকতা করাতে পারবেন না । এছাড়াও সকাল ১১টা ০৫ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে ঢুকতেই হবে, বেরোতে পারবেন না বিকেল সাড়ে ৪ টের আগে। একই সাথে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আরও কড়া হয়েছে রাজ্য ।
কিন্তু সরকারের এই নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই রমরমিয়ে চলছে শিক্ষার একচেটিয়া ব্যবসা। এবার সেই বিষয়েই উদ্যোগী হল প্রশাসন, সোমবার উত্তর দিনাজপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষা দপ্তর জানায়, জেলার স্কুলগুলির কোনো শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত নয় তা নিশ্চিত করতে হবে। । আগামী ৭দিনের মধ্যে শিক্ষা দপ্তরকে জানাতে হবে রিপোর্ট।
এখন থেকে সরকারী বা সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আর গৃহশিক্ষকতা করাতে পারবেন না । এছাড়াও সকাল ১১টা ০৫ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে ঢুকতেই হবে, বেরোতে পারবেন না বিকেল সাড়ে ৪ টের আগে। একই সাথে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আরও কড়া হয়েছে রাজ্য ।