বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ভারত (India) চিনির বৃহত্তম উৎপাদনকারী এবং রফতানিকারকদের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। তবে, এবার একটি বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার। জানা গিয়েছে, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে উৎপাদন হ্রাসের কারণে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি কমাতে চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। মূলত, ভারতে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।
এই প্রসঙ্গে সূত্রের খবর অনুযায়ী, মন্ত্রীদের একটি সমিতি সুপারিশ করেছে যে, মিলগুলির রফতানির জন্য চিনির ডিসপ্যাচকে তাৎক্ষণিক প্রভাব থেকে বন্ধ করা উচিত। এই প্যানেলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। জানা গিয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল এক বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা: ইতিমধ্যেই সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে যে, শীঘ্রই শিপমেন্ট অর্থাৎ চালান নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। ২০২২-২৩ শস্য বর্ষে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ভারতে চিনির উৎপাদন আগের বছরের ৩৫৯ লক্ষ টন থেকে কমে প্রায় ৩২৭ লক্ষ টন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে চিনি রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলেও DGFT (Directorate General of Foreign Trade) এখন তা এক বছরের জন্য বাড়িয়েছে। অর্থাৎ, এই রফতানি নিষেধাজ্ঞা ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে, ইতিমধ্যেই DGFT এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, সিএক্সএল এবং টিআরকিউ শুল্ক ছাড় কোটার অধীনে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (EU) এবং আমেরিকায় চিনি রফতানির ক্ষেত্রে ওই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না।
সূত্রের মতে, “২৭৫ লক্ষ টনের আনুমানিক অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত চিনি এখন রয়েছে। তবে, চলতি বছরে দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে সম্পন্ন হতে চলা লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না।” পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মনে হয়েছে, বিদেশে চিনি পাঠানো অব্যাহত থাকলে দেশে চিনির ঘাটতি দেখা যাবে। যার ফলে চিনির দাম বেড়ে যেতে পারে।