বাংলা হান্ট ডেস্ক :একদিকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড়, অন্যদিকে উত্তপ্ত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার বিশ্ববিদ্য়ালয়ে রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও একযোগে বিরোধিতা করেছিল। সোমবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এক কথায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলেও স্লোগান তোলা হয়েছিল। কিন্তু এরইমধ্যে আজ ওর্থাত্ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
যদিও রাজ্যের সমস্ত ডিগ্রি প্রাপকদের ছাত্র নেতৃত্ব বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে বলেছে রাজ্যপালের কাছ থেকে ডিগ্রি না নিতে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে রাজ্যপালের অবস্থান ও ভূমিকা নিয়েই যত বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ‘বিজেপি অ্যাক্টিভিস্ট গভর্নর গো ব্যাক’, ‘পদ্মপাল, গো ব্যাক’, ‘সিএএ মানছি না, এনআরসি মানব না’। এসব স্লোগান তোলা হয়েছিল। তাই সোমবার বিশ্ববিদ্যয়ালয়ের কোট বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি রাজ্যপাল।
বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এক নম্বরে রাজ্যপালের গাড়ি আটকে তৃণমূল-সমর্থক পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীরা রাজ্যপালকে অরবিন্দ ভবনে ঢুকতে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তবে অন্যদিকে রাজ্যপালকে বৈঠকের পর মঙ্গলবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়েছিল। উপাচার্য বলেন, ‘‘আচার্য চাইলে সমাবর্তনে আসতে পারেন। তিনি এলে পৌরোহিত্য করবেন।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রাজ্যপালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ চলছে।রাজ্যপালের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়া এবং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।
সকলের দাবি একবাদ্যে বিজেপির হয়ে কথা বলছেন তাই দাবি কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। রাজ্যপালকে ঘিরে ছাত্ররা পদ্মপাল বলে স্লোগান তুলে কালো পতাকা দেখায়। এককথায় রাজ্যপালকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে যেভাবে রাজ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তাই পড়ুয়াদের সকলেরই দাবি নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কখনই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।