বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে সরকার গঠন প্রক্রিয়া। আজই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের তত্ত্বাবধানে রাজভবনে শপথ গ্রহণ করলেন রাজ্যের ৪৩ জন মন্ত্রী। যদিও কে কোন পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে আজ বিকেলেই মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মাঝে ফের বিরম্বনায় রাজ্য। কারণ সরকারের পিছু ছাড়ছেনা ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ। সোমবার ফের এই ইস্যুতে আরেকবার সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ”মানুষকে ভোট দেওয়ার মূল্য চোকাতে হয়েছে।” একইসঙ্গে এদিন তিনি দাবি করেন গোটা বিশ্ব থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সাথে সাথেই সরকারের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, “হিংসা কবলিত জেলাগুলি পরিদর্শন করতে চেয়েছিলাম আমি। এটা আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব। রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা করতে বলা সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি।” রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা হিংসার খবর নিয়ে যে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তিনি তাও এদিন নিজের বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “গোটা বিশ্ব জানে সংস্কৃতির পীঠস্থানে কী হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয় হল, ভোট দেওয়ার অধিকার প্রয়োগের দাম দিতে হচ্ছে আপনাদের সকলকে। ভোট যদি মৃত্যুর কারণ হয়, ভোটের জন্য যদি লুঠের শিকার হতে হয়, বাড়ি ঘর ভাঙা হয়, তাহলে সেখানেই সংবিধান শেষ।”
এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আরো বলেন এভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না। তিনি হিংসা-বিদ্ধস্ত এলাকাগুলিতে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়নি, এই প্রসঙ্গেও আজ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, “আমি ব্যাথিত। আমি হতাশ।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই চার সদস্যের দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট করবেন তারা। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছেও রিপোর্ট তলব করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।