বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য ও রাজ্যপালের বিবাদের শুরু সেই প্রথম দিন থেকে, যেদিন রাজ্যপাল প্রথম শপথ নিয়েছিলেন সেদিন থেকেই যেন রাজ্যের সঙ্গে বনিবনা হয়নি রাজ্যপালের। যদিও রাজ্যপাল নির্বাচনের বিষয়টা একপ্রকার রাজ্য সরকাকে গোপনে রেখেই করা হয়েছিল। তার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে বাদ বিবাদ লেগেই রয়েছে মহামান্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগও তোলা হয়েছিল। যদিও রাজ্যপালও কিছুতেই কম যাননা। তবে এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এক উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট দেওয়ার তালিকা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করা হল বিধানসভায়। তাই বিধানসভায় বিধি নিষেধ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আচার্যের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হল।
তাই এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রাজভবনে পাঠানো ডক্টরেট ের তালিকা পরিবর্তন করতে পারবে না রাজ্যপাল। কারণ তার আগে শিক্ষা দফতরকে পাঠাতে হবে। আর শিক্ষা দফতর সেটি রাজ্যপালের কার্য্য়ালয়ে পাঠিয়ে দেবেন। তাইতো এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেও তাদের সঙ্গে কখনই প্রত্যক্ষ ভাবে যোগাযোগ থাকবে না রাজ্যপালের। তবে শুধু ডক্টরেট দেওয়ার ক্ষেত্রে নয় উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও একটু হলেও বদল এনেছে।
আর তা খানিকটা ডক্টরেটের তালিকার মতই। এবার রাজ্যপালকে উপাচার্য নিয়োগের নথি পাঠাবে রাজ্যপাল। অর্থাত্ রাজ্যের শিক্ষা দফতর যাঁকে মনে করবে এমন তিনজনকে প্রথমে শিক্ষা দফতর পাঠাবে অর্থাত্ তিনজনের নাম থেকে রাজ্যপাল যেকোনো একজনকে মনোনীত করবেন। এবং অনুমোদন দেবেন। অর্থাত্ উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও রাজ্যপালে হাতে আর সরিসরি ক্ষমতা নেই।
এবং তিনি নিজের পছন্দ মোত ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে পারবনেও না। এর পাশাপাশি সমাবর্তন এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যপালকে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আগে শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে।