বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এটা নিয়ে জোর বিতর্ক উঠেছে যে, মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) কি রাজ্যে করোনার সংখ্যা লুকানোর চেষ্টা করছে? বিরোধীরাও এটা নিয়ে সর্ব হয়েছে যে, রাজ্যে করোনার রোগী কম হওয়ার প্রধান কারণ হল, টেস্টিং কম। রবিবার রাত পর্যন্ত রাজ্যে ৩১০ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। কিন্তু মেডিকেল এক্সপার্টরা জানাচ্ছে যে, রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
কিছুদিন আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেজ অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজ (NICED) জানিয়েছিল যে, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে রোজ মাত্র ২০ টি স্যাম্পেল পাচ্ছে। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে সাফাই দিয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের খারাপ কিট দেওয়ার কারণে রিপোর্ট কম আসছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবিবার অভিযোগ করে জানায় যে, করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) আর NICED থেকে যেগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো সব খারাপ। এই কিট গুলো দুই সপ্তাহ আগে তাদের দেওয়া হয়েছিল।। খারাপ কিট পাওয়ার কারণে কারোর স্যাম্পেলের ফাইনাল রিপোর্ট প্রস্তুত ক্রয়া সম্ভব হয়নি। একটাই স্যাম্পেল বারবার টেস্টিং করা হচ্ছে। সরকার এবার এই বিষয়ে ICMR এর কাছে শীঘ্রই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এর আগে NICED এর কলকাতার ডায়রেক্টর শান্তা দত্ত জানিয়েছিলেন যে, করোনা স্যাম্পেলের রিপোর্ট আলাদা আলাদা আসার প্রধান কারণ হল, RTP-CR কিটস স্যানিটাইজ করা হয়েছিল না। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৬৩০ জনের পরীক্ষা করানো হয়েছে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গে রোজ ৪০০ জনের পরীক্ষা হচ্ছে। আপনাদের জানিয়ে দিই, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের ১০ হাজার কিট পাঠিয়েছে।