বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন।এই আবহে গতকাল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট (Budget) পেশ করল রাজ্য সরকার (State Government)। রাজ্য বাজেট ঘোষণা করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেটে একাধিক উন্নয়নের কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য আরও ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা (DA) ঘোষণা করে মমতা সরকার। আর শতাংশের হিসেব দেখেই ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা (State Govt Workers)।
রাজ্য তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মার্চ মাস থেকেই এই অতিরিক্ত হারে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে, গতকাল এই মহার্ঘভাতা ঘোষণার পরই ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অনশন মঞ্চ। এই শতাংশ বৃদ্ধিকে রাজ্য সরকারের ‘ভিক্ষা’ বলেও মন্তব্য করলেন তারা। প্রসঙ্গত, শহিদ মিনারে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে গত ৬ দিন ধরে অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। গতকাল সরকারের এই ঘোষণায় তেলে-বেগুনে জ্বলছে তারা।
এক আন্দোলনরত সরকারি কর্মী মমতা সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আমরা ৩৯ শতাংশ বকেয়া চাই। আমরা পাটীগণিত বুঝিয়ে দেব ওকে, ৩ শতাংশ দিয়ে ৩৯ শতাংশকে ঢাকা যায় না। আমাদের দাবি যতক্ষণে না আদায় হচ্ছে, লড়াই চলবে।” পাশাপাশি অন্য এক আন্দোলনে যোগ দেওয়া কর্মীর কথায়, “আমাদের ৩৯ শতাংশ ডিএ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। এটা দীর্ঘদিনের লড়াই। আমরা ভিক্ষার জন্য এখানে সংসার, বাড়িঘর ছেড়ে বসিনি।”
উল্লেখ্য, বুধবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করা কালীন তার মধ্যে ডিএ বৃদ্ধির কথা ছিল না। তবে বাজেট বক্তৃতার শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি চিরকুট তুলে দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে। সেই চিরকুট মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ে অরূপবাবু পৌঁছে দেন অর্থমন্ত্রীকে। এর পরেই কার্যত ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে ডিএ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই তাদের তরফে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ না পেলে তারা ভোটের ডিউটিতে যোগ দেবেন না বলে গতকাল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানায় যৌথমঞ্চ। এমনিতেই বকেয়া ডিএ নিয়ে চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। তার উপর এভাবে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
আরেক আন্দোলনকারী হিসেব বুঝিয়ে বলেন, “সরকার আমাদের এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। আমাদের এইচআর-এর টাকা কেটে নিয়ে ডিএ বলে চালাচ্ছে। আসলে আমরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলাম না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। আমরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাই। রাজ্য বলে টাকা কোথা থেকে আসবে, তাহলে আশপাশের রাজ্যগুলো টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে?”