বাংলাহান্ট ডেস্ক : ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছিল সামশেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানের (Murshidabad) মতো এলাকায়। অনেক জায়গায় বহু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সর্বস্ব হারিয়ে প্রাণ বাঁচাতে জেলা ছেড়ে মালদহে আশ্রয় নেয়। বৈষ্ণব নগরের আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন ঘরছাড়াদের অনেকেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই তাদের এবার ফেরানোর তোড়জোড় শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। তার আগে যাদের যাদের বাড়ি ভেঙে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের একটি তালিকা চেয়ে পাঠাল নবান্ন।
মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) যাদের বাড়ি ভেঙেছে তাদের তালিকা চাইল নবান্ন
যারা সর্বস্ব হারিয়ে ভিটেমাটি টুকুও ছাড়তে বাধ্য হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল সরকার। এবার শনিবার বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আগে ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়ির তালিকা পাঠাতে হবে।
কী বলা হয়েছে বৈঠকে: ঘরহারাদের (Murshidabad) পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা চেয়েছিলেন। এদিন মুখ্যসচিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ‘বাংলার বাড়ি’র প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে, যাতে তারা অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু পান। যাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের তালিকাও পাঠাতে বলা হয় শনিবারের বৈঠকে।
আরো পড়ুন : এক ঘুষিতে অজ্ঞান, অমিতাভকে প্রায় কোমায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বছর ২১-এর এই অভিনেতা!
সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী: এর আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, যাদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের বাংলার আবাস প্রকল্পে নতুন বাড়ি করে দেওয়া হবে। এছাড়াও মৃতদের (Murshidabad) পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যাদের দোকান নষ্ট হয়েছে, হিসেব নিকেশ করে মুখ্যসচিবকে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরো পড়ুন : ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন, অশান্তি ইস্যুতে বিজেপি- RSS-কে নিশানা করে জনতাকে খোলা চিঠি মমতার
সম্প্রতি আবারও শান্ত থাকার আবেদন জানিয়ে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দুজন অফিসার ইন চার্জকে সরানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। সকলকে ধীর, শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।