দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বেতন বঞ্চনার শিকার হয়েছেন৷ কেন্দ্রের হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে, একই সঙ্গে বেতন কমিশন শীঘ্রই কার্যকর করতে হবে৷ স্যাটের রায় ঘোষণার পরেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা, তাই এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সদর্থক বার্তা চাইছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা৷ তাই শুক্রবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা৷ এমনিতেই বারবার বেতন কমিশন কার্যকর হওয়া নিয়ে আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার৷ যদিও চলতি বছরের সেই সম্ভাবনা খুব কম৷
যেহেতু ডিসেম্বর মাসে বেতন কমিশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে তাই চলতি বছরে বর্ধিত হারে সরকারি কর্মচারীরা বেতন নাও পেতে পারেন৷ যদিও ইতিমধ্যে কমিশনের তরফ থেকেই ফাইল জমা পড়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে৷ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, 2016 পয়লা জানুয়ারি থেকে বেসিক পে গ্রেড পে এবং তাঁর সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা সব মিলিয়ে যা হবে সেই পরিমাণ টাকাই ফিক্সেশন হিসেবে ধার্য হবে৷ কিন্তু এই বর্ধিত টাকা 2020 সালের আগেই পাওয়া যাবে না বলেই আশঙ্কা করছে কর্মী সংগঠনগুলি৷তবে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কিন্তু সপ্তম বেতন কমিশনের সমতুল হবে কারণ এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বেতন কমিশন পায়নি
পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে 2010 সালে প্রথম পঞ্চম বেতন কমিশনের কিস্তি পেয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা৷ পরে সরকার পরিবর্তনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় কিস্তিতে দুটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন সে ক্ষেত্রে ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হলে মোট তিনটি কিস্তি দাঁড়াবে৷ তা হলে আদতে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হলেও বর্ধিত বেতন সপ্তম কমিশনের সমতুল্য হবে বলে মনে করছেন সরকারি কর্মচারীরা৷