বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। এই আবহেই আজ বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট (Budget) পেশ করল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটাই ছিল রাজ্যসরকারের শেষ বাজেট। এদিন বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য আরও ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা (DA) ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
তবে ডিএ বাড়া নিয়েও ঘটল বিপত্তি। বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৩ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা আগামী মার্চ থেকে লাগু করা হবে। এই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে, মহার্ঘভাতা ঘোষণার পরই ক্ষোভে গর্জে উঠল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অনশন মঞ্চ। এই শতাংশ বৃদ্ধিকে রাজ্য সরকারের ‘ভিক্ষা’ বলেও মন্তব্য করলেন তারা। তাদের সাফ কথা, “এই ভিক্ষে নিচ্ছি না!”
প্রসঙ্গত, এদিন বুধবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করা কালীন তার মধ্যে ডিএ বৃদ্ধির কথা ছিল না। তবে বাজেট বক্তৃতার শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি চিরকুট তুলে দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে। সেই চিরকুট মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ে অরূপবাবু পৌঁছে দেন অর্থমন্ত্রীকে। এর পরেই কার্যত ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে চন্দ্রিমা।
তবে, এদিন ডিএ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই তাদের তরফে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ না পেলে তারা ভোটের ডিউটিতে যোগ দেবেন না বলে গতকাল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানায় যৌথমঞ্চ। প্রসঙ্গত, এমনিতেই বকেয়া ডিএ নিয়ে চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। তার উপর এভাবে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। রাজ্যের নিজস্ব টাকা দিয়েই সব করতে হচ্ছে। এই অবস্থাতেও সরকারি কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হল। পাশাপাশি মমতা এও জানান, এর জন্য রাজ্য সরকারের প্রতিমাসে অতিরিক্ত ১৬০ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে।