বাংলা হান্ট ডেস্কঃ না অফিস,না বাড়ি! আজকের দিনে মেয়েরা নিরাপদ নেই কোথাও। আরজিকর কান্ডের পর থেকে বিগত কয়েক দিনে বারবার প্রশ্নের মুখে এ রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। এবার রক্ষকই হয়ে উঠলেন ভক্ষক। খাস বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের (Rape) এই ঘটনায় এবার কাঠগড়ায় নির্যাতিতার দাদু।
নাতনিকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে গ্রেপ্তার দাদু
দিনের পর দিন এই শারীরিক নির্যাতনের (Rape) জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই নাবালিকা। এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ এলাকায়। অভিযোগ সামনে আসতেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ওই গুণধর দাদু। জানাজানি হতেই কার্যতশোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
মা মরা মেয়েটা আশ্রয়ের খোঁজে এসে উঠেছিল একমাত্র দাদুর কাছে। কিন্তু কে জানতো নিজের দাদুকেই আশ্রয় দেওয়ার ঋণ শোধ করতে হবে এইভাবে! জানা গিয়েছে মায়ের মৃত্যুর পর বনগাঁর চাঁদা এলাকায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বাড়িতে থাকত দুই বোন। কিন্তু রক্ষকই যে এমন ভক্ষক হয়ে উঠবে তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি কেউ।
সময়ের সাথে সাথে দাদুর আচরণ বদলাতে থাকে। নিজের যৌন লালসা মেটাতেই মাত্র ১৪ নাতনিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করার পর দিনের পর দিন তার ওপর শারীরিক নির্যাতন (Rape) চালাতো দাদু। একাধিকবার এমন নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে নাবালিকাকে। শুধু তাই নয়, সেইসাথে দাদুর কড়া নির্দেশ ছিল এসব কথা কাউকে বললে তাকে নাকি একেবারে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: নলপুরেই কেন লাইনচ্যুত হয়েছিল ট্রেন? আসল কারণ সামনে আসতেই তোলপাড়
আর প্রাণের ভয়ে নির্যাতিতা এতদিন কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু গতকাল অর্থাৎরবিবার দুপুরে আচমকাই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন আর সহ্য করতে না পেরে বাড়ির লোকজন আর প্রতিবেশী এক মহিলার কাছে দাদুর ‘কীর্তি’র কথা সব ফাঁস করে দেয় নাবালিকা।
এরপর বনগাঁ থানায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। ওই প্রতিবেশী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে শংকরকে আটক করলেও, পরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। অসুস্থ নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দাদুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রশ্ন তুলছে সামাজিক অবক্ষয়ের – ও।