বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ১৫ই আগস্ট গোটা দেশে ধুম ধাম করে ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। বিশ্বের প্রতিটি বড়বড় দেশই ভারতকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানায়। প্রতি বছরের মতো এবছরেও দেশের প্রতিটি বিদ্যালয় এবং পাড়ায় পাড়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্যার জন্য জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ পালন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু সেখানকার মানুষ তাও জাতীয় পতাকা তুলে ‘জয় হিন্দ” এর স্লোগান দেন।
বন্যার কারণে দেশের অনেক রাজ্যেই ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের বন্যার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, মানুষের জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের দেশভক্তি কম কোর্টে পারেনি। বন্যা দুর্গত মানুষেরা হাজার সমস্যার পরেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা দিবসের খুশি পালন করেন।
এবছরের স্বাধীনতা দিবসে এমনই কিছু দৃশ্য দেশ জুড়ে দেখা গেছে যে, যেটা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় দেশভক্তির শক্তিই আলাদা। আর কেনই বা দেশর জওয়ানেরা সামান্য কিছু টাকার জন্য বর্ডারে নিজদের প্রাণ বলিদান করে দেন। কর্ণাটকের বাগলকোট জেলার শিরুপালি গ্রাম বন্যার প্রকোপ সহ্য করছে। আর সেই বন্যার মধ্যে সেখানকার মানুষ ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশভক্তি জাহির করছেন।
এরকমই একটি ছবি আজ থেকে দুই বছর আগে অসমের একটি গ্রামে দেখা গেছিল। যেখানে বন্যার কারণে নস্কারা মাধ্যমিক স্কুল প্রায় অর্ধেক ডুবে গেছিল। কিন্তু এর পরেও সেই স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মাতোয়ারা হয়। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছিল, আর গোটা দেশের মানুষ সেই ছবি প্রশংসা করেছিলেন। জলে স্কুল অর্ধেক ডুবে থাকলেও সেই স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্ররা হার না মেনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ঝাণ্ডাকে স্যালাম জানায়।