নিউটন থেকে ডারউইন ও মিল্টনের মতো মহান বিজ্ঞানীরা লকডাউনে দেখিয়েছিলেন প্রতিভা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে গৃহবন্দি অর্থাৎ লকডাউনের মধ্যে রয়েছে। এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এই লকডাউনই একমাত্র হাতিয়ার। সেই কারণে সমগ্র বিশ্ব এখন গৃহবন্দি। তবে প্রাচীন কালে এই লকডাউনের মধ্যেই কিন্তু বেশ কিছু প্রতিভার বিকাশ হয়েছিল। ততকালীন সময়ে এই পদ্ধতিকে লকডাউন না বলা হলেও, কলেরা, প্লেগের মতো রোগের থেকে রক্ষা পেতে মানুষজন সমাজ থেকে বিছিন্ন হয়ে নিজেদের ঘরে বন্দি থাকতে বাধ্য হয়েছিল।

স্যার আইজ্যাক নিউটন, চার্লস ডারউইন, জন মিল্টন এবং লর্ড বীরেন এই নামগুলোর সঙ্গে অল্প বিস্তর ভাবে আমরা সকলেই পরিচিত। তবে এই মহা ব্যক্তিদের সাফল্যের পিছনে যে কঠিন বাস্তব লুখিয়ে রয়েছে, তা হয় অনেকেরই অজানা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে কিভাবে লকডাউনের সম্মুখীন হয়ে, নিজের প্রতিভার বিকাশ করেছিলেন তা সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়।

IMG 20190324 211943

আইজাক নিউটন                                                                                                                                            কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজের এক বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন (Isaac Newton) লকডাউনের মতো পরিস্থিতির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভগুলিতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছিলেন। প্লেগ মহামারী সংক্রমণের সময় নিউটন পোস্টার চাইল্ড হিসাবে আদর্শ স্থাপন করেছিলেন। ১৬৬৫-১৬৬৬ সালে মহামারী রোধ এবং সচেতন করার জন্য তৈরি হওয়া পোস্টারগুলিতে নিউটন পোস্টার চাইল্ড আকারে ভূমিকা নিয়েছিলেন। কারণ ওই মহামারির সময়ে নিউটন তাঁর পরিবার পরিজন ছেড়ে নির্জনে একা থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

এই মহামারি ছড়িয়ে পড়ার সময়, নিউটন তার পরিবার এবং সমাজ থেকে দূরে অনেক সময় কাটিয়েছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তিনি একটি আলাদা অনুভূতির বিকাশ করেন। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই সময়টাকে সঠিকভাবে কার্যায়িত করে তিনি মাধ্যাকর্ষণ, গতির বিধি, প্রতিবিম্বের নীতি আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

CharlesDarwin 5c2c3d7e46e0fb0001a343e3

চার্লস ডারউইন                                                                                                                                                    বিশেষ কোন মহামারির কারণে নয়, নিজের ব্যক্তিগত অসুস্থতার কারণে ১৮৭৬ সালে তিনি সমাজ থেকে দূরে থাকতেন চার্লস ডারউইন (Charles Darwin)। ভার্টিগো, বমি বমি ভাব, শরীরের বাধা, ক্লান্তি, উদ্বেগ, দৃষ্টি সমস্যা ইত্যাদি অনেক সমস্যায় ভুগতেন তিনি। এই সময়কালে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় সম্পূর্ণ সময়টাই গবেষণার কাজে নিয়োজিত করেন।

bayran

লর্ড বায়রন
লর্ড বায়রন (Lord Byron) তাঁর জীবনের বৃহৎঅংশ বিচ্ছিন্নতা ও নির্জনতায় কাটিয়েছিলেন। বায়রন যখন কলেরার ক্রান্তিকালীন সময় গ্রীস থেকে ফিরে আসেন এবং মাল্টায় ৪০ দিন গৃহবন্দি হয়ে থাকেন। মাল্টায় ফিরে এসে তিনি একটি বিদ্রূপমূলক কবিতা হিসাবে ‘মাল্টা থেকে বিদায়’ শিরোনামে একটি গান লিখেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে গৃহবন্দিতে এই দিনগুলো তাঁকে অনেক শিক্ষার পাঠ দিয়েছে।

nnnn

জন মিল্টন
প্যারাডাইস লস্ট এবং এ্যারোপ্যাজিটিকার মতো দুর্দান্ত রচনার লেখক জন মিল্টনও (John Milton) ১৬২৬ সালে লকডাউনের মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিলেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি যখন কলেজের প্রথম বর্ষের স্নাতক ছিলেন, তখন শহর প্লেগ রোগ মহামারির আকার ধারণ করেছিল। এ সময়, তিনি তার লন্ডনের বাড়িতে বন্দী ছিলেন। এই সময়কে কাজে লাগিয়ে তিনি এলিকিয়া প্রিমাকে একটি কমিক স্টাইলে সুর করেছিলেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর