বড়সড় সাফল্য! বিশ্বকে আশা জুগিয়ে HIV-র সফল চিকিৎসা, মারণ রোগকে হারালেন মহিলা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড়সড় সাফল্য! এবার আমেরিকায় প্রথমবারের মতো একজন HIV আক্রান্ত মহিলার চিকিৎসা করে তাঁকে এই মারণ রোগ থেকে মুক্ত করতে সফল হয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের মতে, স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গিয়েছে যে, ওই স্টেম সেলগুলি দান করেছিলেন এমন একজন ব্যক্তি যাঁর HIV-র ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা: ইভন ব্রাইসন এবং বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা: ডেব্রা পারসাউডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ চলমান গবেষণায় বেশ কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পাদিত করা হয়েছিল।

   

ওই সময়, চিকিৎসকেরা একজন মহিলার লিউকেমিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো নাভির রক্ত ​​​​ব্যবহার করেছিলেন। বর্তমানে, মহিলাটি ১৪ মাস ধরে সুস্থ রয়েছেন, এবং কোনও ওষুধেরও প্রয়োজন হচ্ছেনা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও এমন দু’টি ঘটনা ঘটেছে যেখানে HIV-র মত রোগ নিরাময়ের ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে, সেক্ষেত্রে একজন ছিলেন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ এবং অন্যজন ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকান বংশোদ্ভূত এক পুরুষ। তাঁদের উভয়েরই স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছিল এবং সেগুলি নেওয়া হয়েছিল প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে।

এই প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট শ্যারন লেভিন বলেন যে, “এখন চিকিৎসার তৃতীয় রিপোর্ট আসছে এবং প্রথমবারের মতো একজন মহিলাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা হয়েছে।”

HIV AIDS 1024x573 1

জানা গিয়েছে যে, চিকিৎসকেরা প্রথমে HIV আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা করে কেমোথেরাপি দেন, ক্যান্সার কোষকে হত্যা করার জন্য। এরপরে, নির্দিষ্ট জেনেটিক মিউটেশন সহ একজন ব্যক্তির স্টেম সেলগুলি আক্রান্তের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই বিষয়ে অধ্যয়নরত গবেষকরা মনে করেন যে, স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের পরে রোগীদের HIV থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

এই প্রসঙ্গে এইডস সোসাইটির সভাপতি লেভিন আরও জানিয়েছেন, “HIV অবশ্যই নিরাময়যোগ্য। পাশাপাশি, জিন থেরাপি ভবিষ্যতে একটি কার্যকরী চিকিৎসার মাধ্যম হতে পারে।” এছাড়াও, গবেষণায় বলা হয়েছে যে, রোগীদের শরীরে HIV-প্রতিরোধী কোষের সফল প্রতিস্থাপনই এই চিকিৎসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর