বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘গুজব ছড়াবেন না। আতঙ্কিত হবেন না। সর্বদা সতর্ক থাকুন। আর অন্যকে সতর্ক রাখুন।’ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই করোনা (corona vioirus) থেকে মোকাবিলার একমাত্র উপায়। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যাতে নিজেদের মধ্যে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখেন সেই চেষ্টাও করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi) । তাহলে বাজার করতে যাওয়া থেকে এটিএমে (ATM) টাকা তুলতে যাওয়া লোকজন কী ভাবে বজায় রাখবেন সমাজিক দূরত্ব? সেই উপায় সম্বন্ধে লোকজনকে সচেতন করছেন রায়গঞ্জ ও জলপাইগুড়ির পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। রাস্তার উপরে তাঁরা গোল দাগ করে দিচ্ছেন এক মিটার অন্তর। বলছেন এক একটি বৃত্তে যেন একজন করেই দাঁড়ান। করোনাভাইরাস রুখতে এখন লক্ষ্মণরেখাই প্রশাসনের ( administration) হাতিয়ার।
উত্তর দিনাজপুরের ( North Dinajpur) পুলিশ সুপার সুমিত কুমার (sumit kumar) বলেন, “দেশের অনেক জায়গাতেই এই ভাবে গোল দাগ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরাও এখানে সেই কাজ করতে শুরু করেছি কারণ গত দু’দিন ধরে দেখছি যে যেসব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে সরকার (Goverment) ছাড় দিয়েছে সেইসব দোকানের বাইরে ভিড় হচ্ছে।”
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন (lockdown) । তবে বাজার-দোকান-ব্যাঙ্ক খোলা। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বুধবার সকালে রায়গঞ্জ(raijang) পুর এলাকায় ক্রেতা ও উপভোক্তাদের নিয়ম মেনে দাঁড়াতে সহায্য করল প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, ওষুধের দোকান, এটিএম ও ব্যাঙ্কের লাইনে ক্রেতাদের নিয়ম মেনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দোকানের বাইরে সাদা রঙ দিয়ে ১ মিটার অন্তর দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ব্যাঙ্কে আসা জয়ন্তনারায়ণ দত্ত (Jayant Narayan Dutta) বলেন, “আমাদের জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ।” এটিএমে আসা তৃপ্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, “ফারাক রেখে লাইন রেখে দাঁড়ানোই ভাল। ব্যাঙ্কেও একজন একজন করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।”
রায়গঞ্জ পুরসভা, পুলিশ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে বুধবার শহরের বাজারগুলিতে অভিযান চালানো হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যে সব দোকান খোলা ছিল তার বাইরে ক্রেতাদের নিয়ম মেনে লাইন করে দাঁড়ানোর জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এই নিয়ম মেনেই জিনিসপত্র কেনা ও বিক্রি করার জন্য সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিক ও ক্রেতাদের সচেতন করা হয়। জলপাইগুড়িতেও পুলিশ আধিকারিকরা হাতেকলমে বৃত্ত এঁকে দেখিয়ে দেন কী ভাবে মুদিখানার দোকানে গিয়ে বা বাজারে গিয়েও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী (Abhishek Modi) বলেন, “সমস্ত থানাকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি যে হাটে বাজারে ও ব্যাঙ্কে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যেন সব রকম ভাবে তাঁরা চেষ্টা করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।” বাজার-দোকান খোলা থাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে।
গুজরাটে ( Gujarat) অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানে এইরকম ভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্রেতাদের জন্য। এই ব্যবস্থা ক্রেতারা মেনে মানুষে মানুষে দুরত্ব বজায় রাখছেন। Discipline আজ আমাদের শিখতে হবে। আমাদের এখানের দোকানগুলোতেও এইরকম নিয়ম পালন করুন।