জুতো ফিরে পেতে দাবি ৫০ হাজার, বিয়ে করতে গিয়ে কনেপক্ষের লাঠির বাড়ি খেল বর!

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কনেপক্ষের তরফে চাওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। বর তার বদলে দিয়েছিলেন ৫ হাজার টাকা। আর তার জেরেই কনেপক্ষের হাতে ‘উত্তম মধ্যম’ খেতে হল বিয়ে করতে আসা বরকে। উত্তরপ্রদেশের (India) বিজনোরে সামান্য ‘জুতো লোকানো’র রীতিকে কেন্দ্র করেই ঘটে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। কম টাকা দেওয়ায় নতুন বরকে ‘ভিখারি’ বলে টিটকারি শুনতে হয়। শুধু তাই নয়, ঘরে দরজা বন্ধ করে লাঠি দিয়ে বরকে পেটানোরও অভিযোগ ওঠে কনেপক্ষের বিরুদ্ধে। শেষমেষ ঘটনার জল গড়ায় থানা পুলিশ পর্যন্ত।

বিয়ে করতে গিয়ে কনেপক্ষের মার খেল বর (India)

জানা গিয়েছে, শনিবার উত্তরপ্রদেশের (India) বিজনোরে বিয়ে করতে এসেছিলেন উত্তরাখণ্ডের চক্রতার বাসিন্দা মহম্মদ সাবির। বিয়ের অনুষ্ঠান বেশ ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ বিয়ের এক মজার রীতি মেনে বরের জুতো লুকিয়ে দেন কনের বৌদি। জুতো ফেরত দেওয়ার বদলে চেয়ে বসেন ৫০ হাজার টাকা। তবে অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সাবির।

Groom beaten by bride family in India this state

কী থেকে ঘটল বিবাদ: ঘটনার সূত্রপাত এরপর থেকেই। অভিযোগ ওঠে, টাকা কম দেওয়ায় কনের বাড়ির কয়েকজন মহিলা ‘ভিখারি’ বলে কটাক্ষ করেন সাবিরকে। চুপ থাকেনি বরপক্ষও। বিয়ের মাঝেই বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই পরিবার। প্রথমে কথা কাটাকাটি আর তারপর তা অচিরেই গড়ায় হাতাহাতিতে। সাবিরের পরিবারের অভিযোগ, কনেপক্ষের লোকজন তাদের ঘরে বন্ধ করে লাঠি দিয়ে পেটায়। কিন্তু কনের পরিবারের দাবি আবার অন্য রকম।

আরো পড়ুন : “লোভ কোরো না”, এই ব্যক্তির উপদেশ মাথায় নিয়েই অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা!

শেষে হয় আইন আদালত: কনেপক্ষের দাবি, বিষয়টা তখনই হাতাহাতিতে গড়ায় যখন সাবিরের পরিবারের লোকেরা তাদের সোনার গয়নার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কনের বৌদি বলেন, সাবিরের পরিবার নাকি বলেছিল যে কনের থেকেও তাদের টাকা বেশি প্রিয়। পরিস্থিতি (India) ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশের একটি দল পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। দু পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদের পর বর এবং কনের পরিবার হাজিরা দেয় নাজিয়াবাদ পুলিশ স্টেশনে।

আরো পড়ুন : সাতদিন ধরে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ দ্বাদশ শ্রেণির তরুণীকে! উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য

থানার তরফে জানানো হয়েছে, জুতো লোকানোর রীতিকে ঘিরেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়েছিল। তবে থানায় দুই পরিবারই শেষমেষ একটা বোঝাপড়ায় আসে।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X