বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়েতে আর তখন মাত্র কিছুক্ষণের দেরি। পাত্র পাত্রী ছাতনা তলায় যাবেন যাবেন করছেন, ঠিক এমন সময় দুই শিশুকে নিয়ে বিয়ের মন্ডপে হাজির এক মহিলা। তাঁর দাবি বিয়ের পাত্র নাকি তাঁরই স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে।
জানা যাচ্ছে, আসানসোলের হাটন রোডের একটি হোটেলে বসেছিল একটি বিয়ের আসর। স্থানীয় বাসিন্দা পঙ্কজ পাসোয়ানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বুধা এলাকার এক যুবতীর। কিন্তু এহেন ঘটনায় ভেস্তে গেল বিয়ে। বিয়ে শুরু হওয়ার কয়েক মুহুর্ত আগেই বিয়ের মন্ডপে গিয়ে হাজির হন পাত্রের প্রথম পক্ষের স্ত্রী। তাঁর সঙ্গের দুই শিশুকে পঙ্কজ এবং তাঁর সন্তান বলেও দাবি করেন ওই মহিলা।
জানা যাচ্ছে, পঙ্কজ পাসোয়ানের স্ত্রীর পরিচয় দেওয়া ওই মহিলা বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা। বছর সাতেক আগে ভালোবেসেই বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু বছর চারেক আগে তাঁকে এবং সন্তানদের বাপের বাড়িতে ফেলে আসেন পঙ্কজ। এরই মধ্যে এদিকে বিয়ের বন্দোবস্তও পাকা হয়। কিন্তু দিন কয়েক আগেই স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতে পারেন মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্বামীর বিয়ের খবর পাওয়া মাত্রই ঠিক করে ফেলি যেভাবে হোক আটকাতেই হবে। বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ি বাড়ি থেকে। যেকোনো ভাবে এসে পৌঁছাই আসানসোল স্টেশনে।’ বাচ্চাদের নিয়ে শীতের রাতে কিছু না খেয়েই স্টেশনে রাত কাটিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
নিমন্ত্রিতরা জানান, প্রথম স্ত্রীকে মন্ডপে দেখে হকচকিয়ে যান পঙ্কজ। শুরু হয় বচসা। থানায় অভিযোগ দায়ের করার ভয় দেখান মহিলা। আর এর পরই বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে দে দৌড় দেয় বর। পুরো ঘটনার ভিত্তিতে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে পলাতক পঙ্কজের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।