বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিমাচলের (Himachal)উনা (Una)জেলার কুট্টলাহার হালকের প্রিয়ঙ্কালান পঞ্চায়েত থেকে পশ্চিমবঙ্গর কলকাতায় বিয়ে ঠিক হয়ে। কিন্তু লক ডাউনের কারণে বিয়ের পরে দেশে ফিরতে পারেননি বর কনে। অবশেষে ছাপ্পান্ন দিন পর হিমাচল প্রদেশের সীমান্তে পৌঁছার পরই এই বর যাত্রীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু এতো কষ্ট করে বাড়িতে ফিরেও শান্তি নেই। প্রশাসন তরফে প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ তাদের করোনা সংক্রামন আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
গোটা ঘটনা ঘটে ২১শে মার্চ থেকে
চলতি বছরের ২১ শে মার্চ সুনীল কুমারের বরযাত্রী কলকাতায় কাশীপুরে গিয়েছিল। পবণ কুমারের পুত্র সুনীলের বিয়ে কলকাতায় হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের pore ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটা থাকলেও তারা ফিরতে পারেন নি। ২৫শে মার্চ বুক করা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরু হয়ে আর তার ফলে বরযাত্রীদের কেউই আর ফিরতে পারেন নি। আজ ছাপ্পান্ন দিন পরে অনেক চেষ্টা করে তবেই সবাই বাড়িতে ফিরে আসতে পেরেছেন।
সরকারের চেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়
এসডিএম বঙ্গনা বিশাল শর্মা বলেছিলেন যে শনিবার রাতে কলকাতার কাশীপুর থেকে প্রিয়াঙ্কলানে ফিরে আসা ১৮ জনকে আটকানোও হয়ে। তারপরে করোনার মহামারীর লকডাউনের কারণে ওই বরযাত্রীদের সেখানে আটক করা হয়। এরপরেই হিমাচল সরকারকে একটি ভিডিওর মাধ্যমে ফিরে আসার জন্য আবেদন করেছিলেন বরযাত্রীরা। এমনকি পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী পঞ্চায়েতি রাজ বীরেন্দ্র কানওয়ার বরযাত্রীদের জন্য রেশন সরবরাহ করেছিলেন এবং তাদের ফেরতের জন্য সরকারের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। আর অবশেষে তারা ফিরে আসতে পেরে সরকারকে ধন্যবাদও দিয়েছেন।