বিয়ের মঞ্চে কনেকে চড় মারলেন বর! রেগে গিয়ে অন্য একজনকে জীবনসঙ্গী করলেন কনে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিয়েবাড়ি মানেই এক আনন্দের অনুষ্ঠান। সকলের সমাবেশে গমগম করে ওঠে চারিদিক। আলোর রোশনাই, বাজনা, নাচ-গানের মাধ্যমে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান আমরা সকলেই দেখেছি। কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানেই বিয়ের মঞ্চে কনেকে যদি চড় বসিয়ে দেন বর! এমন খবর কি কখনও শুনেছেন?

তবে, এখানেই শেষ নয়, ওই ঘটনার পর আবার অন্য একজনকে বিয়ে করে নেন কনেও! অবাক মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। যা জানার পর রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে সব মহলে।

জানা গিয়েছে যে, তামিলনাড়ুতে এক বিয়ের অনুষ্ঠানের মঞ্চে আচমকাই কনেকে চড় মারেন বর। আসলে বর-কনে যখন মঞ্চে ছিলেন, সেই সময় কনের এক ভাই সেখানে এসে তাঁদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই বর এতটাই রেগে যান যে, সবার সামনেই তিনি কনেকে চড় মেরে বসেন।

অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে কুদ্দালোর জেলার পানরুটি এলাকায়। যদিও, ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি। ওই ঘটনার পরেই বরকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন কনে। শুধু তাই নয়, ওই বরের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার সাথে সাথে সেখানে আসা অন্য একজনকেও বিয়ে করে নেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে কনের আত্মীয়রা জানিয়েছেন যে, সবার সামনেই মঞ্চে কনেকে চড় মেরেছিলেন বর। আর সেই থাপ্পড়টাও খুব জোরালো ছিল। এই কারণে পাত্রীও রেগে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করবেন না।

এরপর সেখানেই বিয়েতে আসা এক ব্যক্তিকে কনে পছন্দ করেন এবং নির্ধারিত মুহুর্তে বিয়ে করে নেন। যদিও, বিয়ের ভেন্যু পরিবর্তন করে তাঁরা বিয়ে সারেন। কনের এই সিদ্ধান্ত তাঁর পরিবারের সদস্যরাও মেনে নিয়ে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান সারেন।

news bride

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে একই রকম একটি চমকপ্রদ ঘটনা প্রকাশ পায়। যেখানে হঠাৎ করেই বিয়ে করতে রাজি হননি কনে। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল হইচই হয় এমনকি, বিষয়টি পুলিশের কাছে পর্যন্ত পৌঁছায়। ঘটনাটি ঘটে আলিগড়ের সিরাউলি গ্রামে।

ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথমে বর এবং বরযাত্রীদেরকে সাদরে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল এবং সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বিবাহের কাজও শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু, হাতে হলুদ মাখানোর অনুষ্ঠানে বর হাত বাড়ালে কনে একপ্রকার চিৎকার করে ওঠেন। কারণ, বরের একটি হাতে তিনটে আঙ্গুল কাটা ছিল। যেই কথা জানতেন না কনে! আর তারপরেই এই তথ্য গোপন করার জন্য তিনি বিয়ে করতে অস্বীকারও করেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর