ভারতের এমন একটি বাজার যেখানে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয় বর, ৭০০ বছর ধরে চলছে প্রথা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিবাহ অত্যন্ত পবিত্র একটি বন্ধন। শুধু তাই নয়, সামাজিক রীতিনীতির মধ্যেও অন্যতম একটি রীতি ।ছেলে বা মেয়ে-তা যে পক্ষই হোক না কেন কেউ নিজের পছন্দে বা কেউ বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। কিন্তু, মনের মানুষকে বিয়ে করা সবারই স্বপ্ন। সবাই চায় তাদের পছন্দের জীবনসঙ্গীকে বিয়ে করতে। তবে, প্রায়ই দেখা যায় কেউ পাচ্ছেন না তার পছন্দের জীবনসঙ্গী , আবার কেউ যৌতুকের কারণে বিয়ে করতে পারছে না।

যৌতুককে একটি খারাপ প্রথা বলা হলেও তা এখনও একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ভয়ঙ্কর খারাপ প্রভাব ফেলছে সমাজে। যৌতুক নেওয়া এবং দেওয়া উভয়ই ভারতে আইনত অপরাধ হলেও, কিছু লোক আছে যারা তাদের লোভ ছাড়ছে না। প্রায়ই যৌতুক নেওয়া ও দেওয়ার অনেক ঘটনা দেখা ও শোনা যায়। ভারতের সব রাজ্যের মধ্যে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের নামই মুখ্য থাকে যৌতুক দেওয়া নেওয়া করায়।

তবে আজ এমন একটি এলাকার কথা আলোচনা হবে যেখানে এই কাজটি কখনও গোপনে নয়, সম্পূর্ণ সমাবেশে করা হয়। ছেলের প্রোফাইল অনুযায়ী যৌতুক নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ যত বেশি যোগ্য এবং যত ভালো চাকরি হবে, ছেলেটির দাম তত বেশি হবে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের কাছে। এতে উভয়ের পরিবারের সদস্যরা ছেলে এবং মেয়ে সবাই একমত।

জানলে অবাক হবেন ভারতে এমন একটি জায়গা আছে যেখানে বরের বাজার হয়। হ্যাঁ, বিহারের মধুবনীতে বিয়ের জন্য সাজানো বরের বাজারকে বলা হয় সৌরথ সভা। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম বিবাহ অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়৷ বিহারের এই বরের হাটে প্রায় 100 জন বর বসে। যেখানে প্রতিটি বর্ণ ধর্মের বর আসে এবং মেয়েরা তাদের বর বেছে নেয়।

কিন্তু বর্তমান সময়ে এই রীতি খুবই কম হচ্ছে। এখানে বসবাসকারী মানুষদের মতে, আগেকার দিনে লোকদের সভায় আনার জন্য নাকি রাজ্য জুড়ে বাস চালানো হত। শুধু তাই নয়, আগেকার দিনে ওই এলাকায় পুরুষদের গরুর মতো বিক্রি করা হত বলেও জানা যায়।700 বছরের পুরানো ঐতিহ্য এটি।MARRIAGE 4

প্রতি বছর এখানে বরের হাট বসে। এই ঐতিহ্য 700 বছর ধরে চলে আসছে। এই অনন্য ঐতিহ্যে, বর-যাত্রী জনসাধারণের প্রদর্শনীতে দাঁড়ায় এবং মেয়েদের পুরুষ অভিভাবক (বাবা বা ভাই) বরকে বেছে নেন। উন্নত বর নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় তার যোগ্যতা, পরিবার, আচরণ এবং জন্মনিবন্ধন সনদ দেখা হয়। সব কিছু যাচাই-বাছাই করে ছেলেটির পছন্দ হলে মেয়েটি হ্যাঁ বলে। আসলে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে এই প্রথা যেন নারী তন্ত্রকেই ইঙ্গিত করে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর