বাংলা হান্ট ডেস্ক: আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের ছবি। আর তারপরেই দলের দুই কাউন্সিলরকে শোকজ় নোটিশ ধরাল তৃণমূল। সূত্রের খবর যাদবপুর-পাটুলি এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় দলের দুই কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল ও তারকেশ্বর চক্রবর্তীকে শোকজ় চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনার পরেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এদিন এই শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওইদিন রাত থেকেই যাদবপুর-পাটুলি এলাকায় দুই কাউন্সিলরের বিবাদের জেরে ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। অভিযোগ ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডলকে মারধরের করেছেন ১১ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীদরা। স্বরাজ শিবিরের অভিযোগ তারকেশ্বরের মাথায় হাত রয়েছে যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারের।
১১০ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় দফতরে বসা নিয়েই তাঁদের দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। প্রথমে স্বরাজ সেখানে বসতে গেলে তারকেশ্বরের অনুগামীরা আপত্তি জানিয়ে বলেন, ওই পার্টি অফিসের চেয়ারে স্বরাজকে বসতে দেওয়া হবে না। যা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপর ধাক্কাধাক্কি থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ মারধোর করে এদিন নাকি স্বরাজের কান ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জানা যায় ষ হহাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন ৫০ হাজার রাজ্যবাসী, বিরাট ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
চোট নিয়েই স্বরাজ অভিযোগ করেন, এই ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছেন ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার তৃণমূলের ওই দফতরে সপ্তাহে অন্তত এক দিন বসেন। আর বাকি দিন কাউন্সিলর।
এদিন দুই কাউন্সিলরের বিবাদের ঘটনা কানে আসতেই প্রকাশ্যে নিন্দা করেন মেয়র। পরে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের শোকজ করা হয়। শুক্রবার ওই দুই কাউন্সিলরকে শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য সভাপতি বক্সী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি ওই দুই কাউন্সিলরকে শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়ে আদতে দল গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত বাকি কাউন্সিলরদেরও বার্তা পাঠালেন বলে মনে করা হচ্ছে।