বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতে জিএসটি সাধারণত ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেই কার্যকর হয়। ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন মানুষের ক্ষেত্রে বছরের শেষে জিএসটি (GST) দেওয়ার নিদান নেই। কিন্তু জয়সলমিরের নরপত রামের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। রিদওয়া গ্রামের বাসিন্দা নরপত এমনিতে বেকার। মাঝে মধ্যে নানা রকম কাজ করে মাসে ৪ হাজার টাকা মতো রোজগার তাঁর।
স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সঙ্গে জিএসটি-র কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্ত এই বেকার যুবকের সঙ্গে এমন কিছু ঘটেছে যাতে তাঁর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। জিএসটি দফতরের তরফে তাঁর কাছে কোটি কোটি টাকা কর দেওয়ার একটি নোটিশ এসেছে। যা দেখে রীতিমতো বিব্রত বোধ করছেন নরপত। গত ২৯ ডিসেম্বর নরপতের কাছে উত্তর দিল্লির জিএসটি কমিশনারেট থেকে একটি নোটিশ আসে।
তাতে লেখা থাকে, ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা কর বাকি রয়েছে তাঁর। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে ওই বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে তাঁকে। যা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান ওই যুবক। যাঁর আয় মেরেকেটে মাসে ৪ হাজার টাকা, তিনি কী ভাবে কর বাকি রাখতে পারেন? আর এত টাকা তাঁর কাছে আসবেই বা কোথা থেকে। নোটিশ পেয়ে তড়িঘড়ি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নরপত রাম।
তিনি নরপতকে জানান, দিল্লির একটি সংস্থা নরপতের প্যান কার্ড জাল করে ব্যবসা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। ফলে তারাই জিএসটি বাকি রেখে দিয়েছে। সেই কারণেই নরপতের ঠিকানায় ওই কর বাকির বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে জিএসটি বিভাগ। এ কথা জানার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান নরপত। কিন্তু পুলিশ তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করায় ন্যায়বিচার চেয়ে পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছেন নরপত। তিনি জানিয়েছেন, একজন বেকার যুবক তিনি। শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর কাছে এত বিপুল অর্থ জমা করার বিজ্ঞপ্তি আসায় রীতিমতো ঘাবড়ে রয়েছেন তিনি। প্যান কার্ড জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন জয়সলমিরের ওই যুবক।