বাংলাহান্ট ডেস্ক : চড়া হারে জিএসটি (Goods and Service Tax) চাপানো হয়েছিল ক্যাসিনো গেমের উপর। দীর্ঘদিন ধরে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল গোয়ার মত রাজ্যগুলি। বিভিন্ন সংস্থা দাবি করেছিল অনলাইন গেমসের উপর ২৮ শতাংশ জিএসটি চাপালে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে ব্যবসা। যুক্তি দিয়ে তারা বলেছিল যে এই ধরনের গেমস শুধু জুয়া বা ফাটকা নয়।
দক্ষতাও জড়িত রয়েছে এই ধরনের গেমসের সাথে। তবে পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ একাধিক রাজ্য ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি চাপানোর পক্ষেই সওয়াল করে। রাজ্যগুলির দাবি মেনে নিয়ে জিএসটি পরিষদ অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং ঘোড়দৌড়ে ২৮% হারে কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থাৎ এবার থেকে জিএসটি ছাড় মিলবে না অনলাইন গেম ও জুয়ার ক্ষেত্রে। এগুলিকে জিএসটির আওতায় আনতে সংশোধন করা হবে আইন। ক্যানসারের চিকিৎসার ওষুধ ডাইনাটাক্সিম্যাব, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজনে তৈরি খাবার, কাঁচা পাঁপড়কে জিএসটি ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জিএসটি ৫% এ কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে মাল্টিপ্লেক্সে বিক্রি হওয়া খাবার ও পানীয়ে। জিএসটি-র সেস ২০% থেকে বাড়িয়ে ২২% করা হয়েছে এমইউভি (মাল্টি ইউটিলিটি ভেহিক্ল) গাড়িতে। অনলাইন গেমে রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। এর প্রভাব পড়ছে শিশু মনে।
এমন একাধিক অভিযোগের মুখে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকও এই ক্ষেত্রে আনতে চলেছে বিশেষ আইন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য জানিয়েছেন, জিএসটি পরিষদ শুধুমাত্র কর আদায়ের ব্যাপারটি আজ আলোচনা করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, আয় হচ্ছে, লাভ হচ্ছে।
জিএসটি বসানো হচ্ছে তার উপরেই। বিশেষ করে কোনও শিল্প ক্ষেত্রকে টার্গেট করা হচ্ছে না। এই ব্যাপারে কিছু রাজ্য বিরোধিতা করেছিল। তবে নৈতিক প্রশ্ন হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের থেকেও কি এদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়? এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দু-তিন বছর আলোচনার পর।