বাংলাহান্ট : এবার দেশে বাড়তে চলেছে জিএসটি এর হার। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। এবার এই হার এক লাফে প্রায় ৩% বাড়বে বলেই খবর। জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে ট্যাক্স কাঠামোকে মজবুত করতে এই প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে।
জিএসটি অর্থাৎ গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স। মূলত বিনোদনমূলক পণ্য এবং পরিষেবার জন্যই সর্বাধিক থাকে এই ট্যাক্সের হার। অত্যাবশকীয় পণ্য গুলিতে সরকার কর ছাড় দেওয়ায় সেগুলি থাকে জিএসটির সবচেয়ে কম হারে। এবার জিএসটির এই সর্বনিম্ন স্ল্যাবটির হারই ৩% বাড়াতে চলেছে কাউন্সিল। এখন সর্বনিম্ন হারে জিএসটি দিতে হয় ৫%। এই প্রস্তাব পাশ হলে এই হার বেড়ে একলাফে হয়ে দাঁড়াবে ৮%। যার জেরে কার্যতই বাড়তে চলেছে একাধিক পণ্যের দাম।
বর্তমানে জিএসটির চারটি হার রয়েছে দেশে। ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮% এই চারটি হারেই জিএসটি আদায় করে কেন্দ্র। রোজকার অত্যাবশকীয় পণ্যগুলিকে রাখা হয় সর্বনিম্ন অর্থাৎ ৫% হারের স্ল্যাবে। এবং অন্যান্য মূল্যবান পণ্য এবং বিলাস পরিষেবাকে রাখা হয় সর্বোচ্চ স্ল্যাবে। সরকার বর্তমান সর্বনিম্ন স্ল্যাবের জিএসটি ৩% বাড়ালে এই খাতে সরকারের বার্ষিক আয় হয়ে দাঁড়াবে ১.৫০ লক্ষ কোটি টাকা।
ট্যাক্সের হার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই জিএসটির স্ল্যাব একটি কমিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছে সরকার। এখনকার চারটের বদলে রাখা হবে ৮%, ১২%,২৮% মাত্র এই ৩টি স্ল্যাব। কমানো হবে করছাড়ে থাকা পণ্যের সংখ্যাও। জিএসটি নূন্যতম স্ল্যাবে ৩% বাড়বে প্রায় সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেরই। আরও দাম বাড়বে ভোজ্য তেল, মশলা, চা, কফি, চিনি, কয়লা প্রভৃতি পণ্যের। দাম বাড়তে চলেছে ওষুধ, বায়ো গ্যাস, এসি যান, বিমান টিকিটের মতন পণ্যেরও। বিগত কয়েকবছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে প্রভূত ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতি। লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অগণিত মানুষ। কমেছে রোজগারও। তাই এহেন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আরও মূল্যবৃদ্ধি হলে পেটা চালিয়ে প্রাণটুকু বাঁচাবেন কীভাবে তাই ভেবেই মাথায় হাত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের।