বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের ‘প্রাপ্য’ টাকা আটকে রাখা নিয়ে মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রকে একহাত নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহুবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, নানান বরাদ্দ বাবদ বাংলার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। এই টাকা না দেওয়ায় রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) নানান জনকল্যাণমূলক কাজ করতে পারছে না বলে দাবি করেছেন তিনি। ‘প্রাপ্য’ টাকা আদায়ের জন্য বহুবার কেন্দ্রকে (Central Government) চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার নিজের চালে নিজেই ‘ফেঁসে’ গেলেন তিনি!
টাকা নিয়ে এবার চাপে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)!
কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা নিয়ে বহুবার মুখ খুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। চিঠি লেখা সহ নানানভাবে টাকা-পয়সা নিয়ে কেন্দ্রের ওপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার মমতার দেখানো পথেই হাঁটল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (Gorkhaland Territorial Administration) তথা জিটিএ।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যেমন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তোলা হয়, তেমনই এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলল GTA। তাদের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছরে রাজ্য সরকারের বাজেটে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হলেও তার একটি অংশ এখনও দেওয়া হয়নি। সেই অঙ্কটা প্রায় ৩০০ কোটি কাছাকাছি।
আরও পড়ুনঃ ‘এই সিট…’! ভোটের আগে SP-কে ফোন মমতার, দু’জনের ‘গোপন’ কথোপকথন ফাঁস শুভেন্দুর!
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দাবি, রাজ্য সরকারের বাজেট অনুসারে বহু উন্নয়নমূলক কাজ করা হলেও সেসব কাজের জন্য নবান্ন কোনও রকম টাকা না দেওয়ার কারণে ঠিকাদারদের টাকা-পয়সা মেটানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দ টাকার একটি অংশ না দেওয়ার কারণে ঠিকাদারদের বেশ কিছু টাকা আটকে রয়েছে। যে কারণে তাঁরা এখন নতুন কোনও কাজে হাত দিতে চাইছেন না।
এমতাবস্থায় GTA-র চেয়ারম্যান অনিত থাপা রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ অবধি কত টাকা বকেয়া রয়েছে সেই সম্বন্ধে পরিষ্কার তুলে ধরা হয়েছে।
রাজ্যকে দেওয়া ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে ৯০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে এর মধ্যে স্রেফ ৬৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরের অর্থবরসে ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও মাত্র ৪২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। করোনা এবং লকডাউনের সময় আবার আলাদা করে কোনও বরাদ্দ করা হয়। GTA-র লেখা চিঠি অনুযায়ী, বিগত ৯ অর্থবর্ষে পাহাড়ের জন্য ৯১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলে দেওয়া হয়েছে ৬৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এখনও আটকে রয়েছে ২৭৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।