বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার রায় নিয়ে বর্তমানে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করায় এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬,০০০ মানুষ। এবার নজরে পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (GTA Recruitment Scam)। ভোটের আবহেই শুরু হয়ে গেল তথ্য সংগ্রহের কাজ।
সমতলের মতো পাহাড়েও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়মের (Teacher Recruitment Scam) অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা চলছে। এবার জানা গেল, কালিম্পং ও দার্জিলিং পাহাড়ের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়ে গেল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার জিটিএ (GTA) তথা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষা বিভাগের তরফ থেকে দু’টি পাহাড়ি জেলার স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যানদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সেখানে ২০১২-২০১৯ সাল অবধি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে একটি রিপোর্ট বানাতে বলা হয়েছে। কী কী নথি জমা করা হয়েছিল, অস্থায়ী শিক্ষকদের কীভাবে চাকরি রেগুলারাইজেশন হল সেই সব কিছু চেয়ারম্যানদের রিপোর্টে বিস্তারিত উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই পার্বত্য পরিষদ থেকে জিটিএ- এই মেয়াদের মধ্যে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরও লিস্টে রাখার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাতিল চাকরি হতেই একি কাণ্ড! টাকা ফেরত চেয়ে তৃণমূল নেতাদের বাড়ির সামনে ভিড়, ধাক্কাধাক্কি
উল্লেখ্য, পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইকে প্রাথমিকভাবে অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। আদালতের তরফ থেকে এই নির্দেশ পেয়ে, গত ২৫ এপ্রিল একটি মুখবন্ধ খামে আদালতে রিপোর্ট জমা করে তদন্তকারী সংস্থা। জিটিএ এবং সরকারের তরফ থেকে অনুমান, কয়েকদিনের মধ্যে কিংবা আগামী শুনানিতে এই বিষয়ে তথ্য চাইতে পারে আদালত। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফ থেকে একটি হলফনামা জমা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় পাহাড়ের প্রাথমিক শিক্ষহক-শিক্ষিকাদের নিয়োগের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে গেল।
এদিকে জিটিএ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে আগামী ৬ মে এই মামলার শুনানি রয়েছে। তবে রাজ্যের করা আর্জির ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ স্থগিতাদেশ দেয়। সেই কারণে সিবিআই কিংবা নতুন করে কোনও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে জিটিএ নিয়োগ মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া যাবে না। গত সোমবার এই মামলার শুনানি হয়েছে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার দু’সপ্তাহ পর মামলার দিন দিয়েছেন।