বাংলাহান্ট: শেকসপিয়রের “রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট” কখনোই প্রেমের নাটক হিসাবে চর্চিত নয়, চর্চিত নিষ্পাপ ভালোবাসার করুণ পরিণতির জন্য, চর্চিত দুই বিরোধী শক্তির রেষারেষির মাঝখানে এক ভালোবাসার গণহত্যার ঘটনায়। সেইবার ট্রাজেডি নেমে এসেছিল মঞ্চের উপর। এবার যেনো শেকসপিয়রের কথায় পৃথিবী নামক রঙ্গমঞ্চে তারই খানিক জলজ্যান্ত আড্যাপ্টেশন।
১১ই মে, বুধবার। সাকির তিন বন্ধুকে নিয়ে ঢুকে পড়ে মিঠুন ঠাকুরের বাড়িতে এবং তারা সবাই মিলে জীবনে চিরকালের জন্য ‘দাঁড়ি’ টেনে দেয়। পড়শিদের মধ্যে একজন মিঠুনকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে শীঘ্রই তাকে রাজকোট সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সারা শরীর জুড়ে গভীর ক্ষত এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ চলছে বুঝতে পেরেই সিভিল হাসপাতালের ডাক্তার মিঠুনকে আহমেদাবাদে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। আহমেদাবাদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও লাভ হলো না। নিজের শরীর জুড়ে গভীর ক্ষতের পীড়নের সাথে পাঞ্জার লড়াইটা জিততে পারেনি মিঠুন।
মিঠুনের এই পরিণতির কারণ সে সুমাইয়া কাদিভার নামে যেই মেয়েটিকে ভালোবাসতো, সে একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তাই মেয়ের দাদা সাকির ধর্মের গোঁড়ামির অলিখিত সূত্র ভুল করার শাস্তি দিয়েছে মিঠুনকে। মিঠুনের মৃত্যুর খবর শুনে ১৮ বছর বয়সী সুমাইয়া হাতের শিরা কেটে আত্মহননের চেষ্টা করলেও সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো রকমে রক্ষা পায় প্রাণ। সমস্ত ঘটনার খোলসা তখন হয়, যখন সুমাইয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
সূত্রের খবর অনুসারে, বিহারের বাসিন্দা মিঠুন ঠাকুর গুজরাটের রাজকোটে একটি স্থানীয় কারখানায় কাজ করত। সুমাইয়া তার প্রতিবেশী ছিলো। পরবর্তীকালে একে অপরের হৃদয়ের কাছাকাছি চলে আসে তারা। জানা গিয়েছে যে, সোমবার মিঠুন ফোন করে তার বান্ধবী সুমাইয়াকে। ফোনটি ধরে তার দাদা সাকির, এবং দুজনের মধ্যেকার কথোপকথন অল্পেই ঝগড়ার রূপ নেয়। সাকির তাকে সুমাইয়া থেকে দূরে থাকার উপদেশ দেয় এমনকি প্রাণের হুমকিও দেয়।
ইতিমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে ভক্তিনগর পুলিশ ইনস্পেক্টর এল এল ছাবড়া জানান, “আমরা মৃতের বাবার অভিযোগটি গ্রহণ করেছি এবং সাকির এবং তার একজন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছি”।