বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ চলতি মরশুমেও অসাধারণ ছন্দে রয়েছে গুজরাট টাইটান্স। একের পর এক ম্যাচ জিতে চলেছে তারা। মাঝে কিছু ম্যাচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারতে হলেও জয়ের মধ্যেই রয়েছে তারা। আজ গতবারের ফাইনালিস্ট রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে চলতি আইপিএলের পয়েন্টস টেবিলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে বাকিদের বেশ কিছুটা নাগালের বাইরে পৌঁছে গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
এর একটা অন্যতম কারণ হলো দলে কোন নির্দিষ্ট একজনের উপর নির্ভরতা না থাকা। আজ যদি শুভমান গিল ম্যাচ জেতান, তাহলে কাল বল হাতে মহম্মদ শামি ম্যাচ জেতাবেন। অর্থাৎ দলে একাধিক ম্যাচুয়িনার রয়েছেন এবং সেই সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়া খুব ঠান্ডা মাথায় তাদের পরিচালনা করছেন। সেই সঙ্গে তার হাতের অন্যতম তোর রূপের তাস হয়ে উঠেছে আফগান স্পিন জুটি নূর আহমেদ এবং রশিদ খান।
রশিদ খান দীর্ঘদিন ধরেই আইপিএলের মঞ্চে এবং বিশ্ব ক্রিকেটে একটি পরিচিত নাম এবং এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনারদের মধ্যে একজন। কিন্তু তার স্বদেশীয় নূর আহমেদের উত্থানটা এই আইপিএলে হয়েছে অনেকটা রকেটের গতিতে। অন্যান্য দলগুলি যেখানে তারকা ক্রিকেটারদের সামলাতে ব্যর্থ, সেখানে আয়ারল্যান্ড আফগানিস্তানের মতো তথাকথিত ক্রিকেটের বিশ্বে পিছিয়ে থাকা দেশগুলির তিন তারকাকে নিয়মিত ব্যবহার করে হার্দিক পান্ডিয়া যেভাবে সাফল্যের মুখ দেখছেন তা খুবই আকর্ষণীয়।
রশিদ খান আইপিএলে ১০ ম্যাচ খেলে ১৮ টি উইকেট নিয়ে নিয়েছেন। দু একটি ম্যাচে ব্যতিক্রমী খারাপ বোলিং করলেও এই মুহূর্তে পার্পেল ক্যাপ তার দখলেই রয়েছে। অপরদিকে নূর আহমেদ ৬ ম্যাচ খেলে কৃপণ বোলিং করে ১০ উইকেট নিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন। ভারতের তাবড় তাবড় বড় তারকারা তাদের উইকেট যেন তাদেরকে উপহার দিয়ে দিচ্ছেন। উইকেটের পিছনে ঋদ্ধিমান সাহার মতো কিপারের উপস্থিতি তাদের মন খুলে বোলিং করতে সহায়তা করছে।
আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের খুব বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে এই দুই স্পিনার। আফগান ক্রিকেট আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। উপমহাদেশের মাটিতে নিজেদের স্পিন অস্ত্রকে হাতিয়ার করে বাইরের দলগুলিকে ধাক্কা দিতে প্রস্তুত থাকবেন রশিদ খানরা।