কর্মক্ষেত্রে অমানুষিক চাপ, নিজের চারটে আঙুল কেটে ফেললেন যুবক….তারপরে যা হল, জানলে শিউরে উঠবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একদিকে দেশে বেকারত্বের চিন্তা, অন্যদিকে কাজ থাকলেও কর্মক্ষেত্রে অমানুষিক চাপ (Work Pressure)। এর জেরে চরম থেকে চরমতম সিদ্ধান্ত নিতেও বাধ্য হচ্ছেন কর্মচারীরা। গুজরাতের সুরাটে সম্প্রতি ঘটে গেল এমনি এক রোমহর্ষক ঘটনা। নিজের হাতের চারটি আঙুল নিজেই কেটে ফেললেন যুবক! কাজের অত্যধিক চাপের (Work Pressure) কারণেই নাকি তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর।

কাজের চাপ (Work Pressure) থেকে বাঁচতে চরম সিদ্ধান্ত

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর ৩২ এর সুরাটের বাসিন্দা ওই যুবক আমরোলির একটি গয়নার দোকানে কাজ করতেন। কম্পিউটারে হিসাব রাখার কাজ ছিল তাঁর। মাস শেষে পেতেন ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু মানসিক শান্তিটাই ছিল না। কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ (Work Pressure) বাড়ছিল দিনকে দিন। এদিকে কাজ যে ছেড়ে দেবেন তার উপায়ও নেই। কারণ দোকান মালিক বাবার বন্ধু। শেষমেষ বাধ্য হয়ে চরম পথেই হাঁটলেন যুবক।

Gujarat youth took big step for work pressure

খটকা লাগে পুলিশের: কাজের চাপ (Work Pressure) থেকে অব্যাহতি পেতে নিজের বাম হাতে চারটি আঙুল কেটে ফেললেন গুজরাতের যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৮ ই ডিসেম্বর আমরোলি পুলিশকে ওই যুবক জানান, দুষ্কৃতী হামলায় তাঁর এই অবস্থা হয়েছে। কিন্তু যুবকের মন্তব্যে পুলিশের খটকা লাগে। দুষ্কৃতী হামলায় যুবকের মোবাইল, টাকা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শুধুমাত্র চারটি আঙুল কেন কেটে নেওয়া হল?

আরো পড়ুন : আদৃতের পর এবার সৌমিতৃষা, এই নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে ছোটপর্দায় ফিরছেন ‘মিঠাই’! কোন সিরিয়ালে?

শেষমেষ স্বীকারোক্তি যুবকের: খটকা লাগায় পুলিশ জেরা করে ওই যুবককে। তখনই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। জেরায় যুবক স্বীকার করেন, তিনি নিজেই নিজের আঙুল কেটে ফেলেছেন। কাজের চাপ (Work Pressure) থেকে রেহাই পেতেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর জন্য নাকি স্টেইনলেস স্টিলের ছুরিও কিনেছিলেন ওই যুবক।

আরো পড়ুন : ভারতকে চাপে ফেলাই লক্ষ্য? পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক গভীর করছে বাংলাদেশ, দিতে চলেছে এই বিশেষ সুবিধা

দোকান মালিক বাবার বন্ধু হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে চাপের কথা নাকি বলতে পারেননি যুবক। তাই এই কাজ করেন তিনি। যুবকের পরিবারে বাবা মায়ের পাশাপাশি স্ত্রী এবং দুই সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কাজের চাপ (Work Pressure) সামলাতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু এমন ঘটনা দেখে পুলিশও কার্যত হতভম্ব হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর