বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেই নিজের দলের সমালোচনা করে বিতর্কের কারণ হয়েছিলেন তিনি। এরই কিছুদিনের মধ্যেই এবার বিজেপির প্রশংসা করে আবারও বিতর্কে জড়ালেন গুজরাটের কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল। তাঁর দাবি, আরও ভালো সমস্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বিজেপির। নিজেকে হিন্দু হিসেবে গর্বিত বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে অবশ্য তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাও উড়িয়েছেন হার্দিক। এই কংগ্রেস নেতার দাবি সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে লুকিয়ে নয়, বরং জনগণের সামনে উন্মুক্ত চিত্তেই তা নেবেন।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে পতিদার নেতা নরেশ প্যাটেলকে দলে নেওয়ার কংগ্রেসের পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ হার্দিক প্যাটেল। অনেকের মতে নরেশ প্যাটেল কংগ্রেসের যোগ দিলে নিজের প্রতিপত্তি হারাবেন বলেই আশঙ্কিত হার্দিক। আর এর জেরেই বিগত সপ্তাহে কংগ্রেসের কর্মশৈলির সমালোচনা করেন তিনি। পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘দলের হাইকমান্ডকে আমার মতামত জানিয়েছি। রাজ্যের মানুষের কথা মাথায় রেখেই দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে বলেই আশাবাদী আমি।’
কিন্তু এবার আবারও দলের উল্টোসুর গেয়ে বিজেপির প্রশংসা করতে শোনা গেল তাঁকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেনে নিতে হবে যে বিজেপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলি এই ব্যাপারটি স্পষ্ট দেখায় যে এই দলটি আরও ভাল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের অন্তত উচিত সত্যকে প্রশংসা করতে না পারলেও তাকে মেনে নেওয়া। কংগ্রেস যদি শক্তিশালী হতে চায়, তবে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমি। সত্যই বলছি। হাজার হাজার দলীয় কর্মী আমার সঙ্গে একমত হবেন যে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার অভাব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো ব্যক্তির ওপর নয়, রাজ্য নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ। আমি মনে করি না যে রাজ্যে দলীয় নেতৃত্ব রাষ্ট্রের স্বার্থে তার দায়িত্ব পালন করছে। কেউ সত্য কথা বললে দলের মধ্যে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।’ সব মিলিয়ে তাঁর এহেন মন্তব্যে যে তুমুল বিতর্ক এবং জল্পনার ঝড় মোদীরাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তা বলাই বাহুল্য।