মোদীকে ফাঁসাতে সোনিয়ার নির্দেশে তিস্তাকে টাকা দেয় আহমেদ প্যাটেল! গুরুতর অভিযোগ বিজেপির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ড (Godhra kand) এবং পরবর্তীতে গুজরাট দাঙ্গা (Gujrat Riots), ২০ বছর পেরিয়েও এখনো পর্যন্ত গোটা দেশবাসীর গায়ে কাঁটা দিয়ে যায় উক্ত ঘটনা। দাঙ্গার ভয়াবহতা বর্তমানেও বহু মানুষের স্মৃতিতে টাটকা রয়ে গিয়েছে। আর এবার সেই কাণ্ডে কংগ্রেস-যোগের (Congress) অভিযোগ তুলে চলেছে বিজেপি (BJP)। সম্প্রতি, গোধরা কাণ্ডে সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে (Teesta Setalvad), গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে তিস্তা, কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের (Ahmed patel) কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছে পুলিশ আর এবার একধাপ এগিয়ে এই ঘটনায় সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করলো বিজেপি।

উল্লেখ্য, দাঙ্গার সময়কালে গুজরাটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। অথচ সেই সমাজকর্মীকেই বর্তমানে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশের এটিএস শাখা। উঠে এসেছে কংগ্রেস-যোগের সম্ভাবনা। এর মাঝেই এদিন বিজেপি দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “গুজরাট দাঙ্গা মামলায় মোদীকে কোণঠাসা করার ছক ছিল। এসব কিছু হয় সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে। এই ঘটনায় কংগ্রেস নেত্রী জড়িত। ওর নির্দেশে তিস্তা শেতলবাদকে ৩০ লক্ষ টাকা দেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল।” উল্লেখ্য, আহমেদ প্যাটেল কংগ্রেস আমলে সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ড এবং গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। যেভাবে দাঙ্গার কারণে একের পর এক পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল, তা গোটা দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে। এমনকি এই ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য সিটের তদন্তে নরেন্দ্র মোদী সহ অন্যান্য বহু নেতাকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সেই তদন্তের বিরুদ্ধে আবেদন করা হলেও তা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

তবে বর্তমানে যেভাবে সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, সেই প্রসঙ্গে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে অনেক। তবে এর পরেও তিস্তার বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ এনে চলেছে পুলিশ। তাদের দাবি, ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের পরবর্তী সময় রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিস্তা। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে দেশ এবং দেশের বাইরে সমালোচনা মাঝে এই ঘটনায় পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।