বাংলা হান্ট ডেস্ক: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘গুমনামী’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২ অক্টোবর। তার আগে বুধবার ‘গুমনামী’র টিম হাজির ছিল উত্তর কলকাতার সিমলা ব্যায়াম সমিতির দুর্গাপুজো মণ্ডপে। ছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তনুশ্রী চক্রবর্তী।
তবে ছবির প্রচারে হঠাৎ কেন শিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজো মণ্ডপকেই বেছে নিলেন পরিচালক?
জানা যায়, এই সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম। ১৯২৬ সালে বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসুই প্রথম সিমলা ব্যায়াম সমিতির মাঠে দুর্গাপুজো শুরু করেন। এই পুজো মণ্ডপের কাছে সিমলা পাড়ায় ছিল স্বামীজির বাড়ি। স্বামীজির ভাই মহেন্দ্রলাল দত্ত-ও এই পুজোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। বরাবর বিপ্লবীদের আখড়া বলে সেমসয় সিমলা ব্যায়াম সমিতির ওপর নজর ছিল ইংরেজ শাসকদের। ১৯৩২ সালে ব্রিটিশরা এই ক্লাবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে পুজোও বন্ধ হয়ে যায়। এই নিষেধাজ্ঞা ছিল ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত। ১৯৩৪ সালে ক্লাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোর সভাপতি হন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আর সেকথা মাথায় রেখেই উত্তর কলকাতার এই পুজো মণ্ডপেই তাঁর ‘গুমনামী’ ছবির প্রচারে গোটা টিমকে নিয়ে হাজির ছিলেন পরিচালক।
তাঁর ছবি ‘গুমনামী’ নিয়ে হাজারও বিতর্ক ও পুজোয় ছবি মুক্তি নিয়ে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ”ছবি নিয়ে নানান চ্যালেঞ্জ, বাধা সত্ত্বেও ছবিটি পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে। আমার এবং ছবিটির পাশে থাকার জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ জানাবো। আমি এই ছবিটি নিয়ে অনেক ফোন, টুইট, মেসেজ পাচ্ছি, যেগুলি ছবিটি নিয়ে আমায় আরও উদ্বুদ্ধ করছে। আমি আপাতত ২ অক্টোবর ছবিটির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি।”