বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। শুধু হুগলি জেলাতেই চাকরি গেছে ৬৮ জনের। সেই তালিকায় নাম ছিল আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার দুই মেয়ের। জানা যাচ্ছে, গুণধর খাঁড়ার চার মেয়ে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁদের মধ্যে দুই কন্যা শিবানী খাঁড়া ও সীমা খাঁড়া চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। সেই সময়ই মুখ খুললেন গুণধর খাঁড়া এবং তাঁর মেয়ে শিবানী। জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে সালেরপুর সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহশিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন তিনি। শিবানী বলেন, ‘আমাদের এসআই অফিস থেকে বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ব্যপারে কিছু জানানো হয়নি। স্কুল এখন ছুটি। তাই যাচ্ছি না। বিচারব্যবস্থার উপর আমার সম্পুর্ণ আস্থা আছে।’
বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্রী। নিজের যোগ্যতায় এই চাকরি পেয়েছি। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো নম্বর রয়েছে আমার। ‘হাই ফার্স্টডিভিশন’ রয়েছে। সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ডিএডও করি। বাংলা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছি। পরে বেসিক ট্রেনিংও করি। ২০১৪ সালে সম্পুর্ণ স্বচ্ছ ভাবেই টেট পাশ করি। আমি সব দিক থেকেই যোগ্য। নিজের যোগ্যতাতেই এই চাকরি পেয়েছি। বিয়ের পর চাকরিতে যোগ দিয়েছি।’
যদিও আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসছে, তিনি নাকি শুধু নিজের মেয়েদেরই নয়, এলাকার অনেককেই এই ভাবে বেনিয়ম করে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। এই সমস্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা। গুণধরবাবু বলেন, ‘ভারতের বিচারব্যবস্থা যা রায় দেবে মাথা পেতে নেব। আমার মেয়েরা নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। ওদের চাকরি যাওয়ার কোনও নির্দেশ আমার কাছে আসেনি। এই পুরো বিষয়টিই আদালতের বিচারাধীন। আমি এই বিষয়ে কোনও রকম মন্তব্য করতে চাই না। তবে যদি মেয়েদের চাকরি খারিজের কোনও নির্দেশ আসে সেক্ষেত্রে আদালতে আবেদন করব। ভারতের বিচারব্যবস্থার উপর আমার সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে।’