অযোধ্যাতে অনেকদিন ধরে বাস করা গুমনামি বাবা (ভগবান জি) এর পরিচয় এর খোলসা করার জন্য জাস্টিস বিষ্ণু আয়োগ এর রিপোর্ট মঙ্গলবার বিকেলে যোগী ক্যাবিনেটে পেশ করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে যে, আয়োগ জানিয়েছে যে, এটা বলা মুশকিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুই গুমনামি বাবা ছিল কিনা। তিন বছর আগে বানানো এই রিপোর্ট আজ উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় পেশ করা হবে।
১৯৪৫ সালে আগস্ট মাসে জাপানে সেনা বিমানের দুর্ঘটনার পর সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুর দাবি করা হয়। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন সবার মনে জাগে। ভারত সমের বিশ্বের অনেকেই এটা মানে যে, ওই বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল না। তিনি কয়েকবছর পর ভারতে এসেছিলেন। এটাও শোনা যায় যে, উনি রাশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অনেক বই তেই দাবি করা হয় যে, উনি যখন ভারতে ফিরেছিলেন, তখন উনি সার্বজনীন জীবন ত্যাগ করেছিলেন। উনি ভারতে এসে পরিচয় লুকিয়ে গুমনামি বাবা নামে বসবাস করতে শুরু করেন। অনুজ ধর এর বই বলে যে, রাশিয়ার সাইবেরিয়া জেলে অত্যাচার সহ্য করার পর তিনি চরম মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন।
১৯৮৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর গুমনামি বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৮ই সেপ্টেম্বর ওনাকে ভক্তেরা তিরঙ্গাতে মুড়ে ওনার পবিত্র দেহর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে সরযূ নদীর তীরে। ওই শেষকৃত্যে শুধুমাত্র ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন।
সবাই তখন আশ্চর্য হয়ে পড়ে, যখন ওনার ঘর থেকে সব জিনিষ পত্র উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকেই কেউ ওনাকে আর সাধারণ মানুষ বলে মানতে পারল না। সবাই তখন এটাই ধরে নিলো যে, উনিই সুভাষ চন্দ্র বসু। গুমনামি বাবার সমস্ত জিনিষ প্রশাসন নিলাম করতে যাচ্ছিল। তখন সুভাষ বসুর ভাইয়ের মেয়ে ললিতা বসু আর সুভাষ বসুর ঘনিষ্ঠ এম.এ হলিম এবং বিশ্ববন্ধু তিওয়ারি আদালতের দরজায় কড়া নাড়েন। আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সালের মার্চ মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ওনার সমস্ত জিনিষ ২৪ টি টাঙ্কে সিল করা হয়। এখন গুমনামি বাবার সমস্ত জিনিষ সরকারি ভাণ্ডারে জমা আছে।