বাংলাহান্ট ডেস্ক: শেষ হল ‘খড়কুটো’ (Khorkuto)। দু বছরের স্মৃতি উপহার দিয়ে বিদায় নিল সৌজন্য গুনগুন (Gungun) সহ মুখার্জি পরিবার। শেষ পর্বের আগে গুনগুনের মৃত্য দেখানোয় কেঁদে ভাসিয়েছিল অনুরাগীরা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল চিত্রনাট্য লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরে। কিন্তু গুনগুন ওরফে তৃণা সাহা এবং লেখিকা জানিয়েছিলেন, শেষ পর্বে একটা সারপ্রাইজ থাকবে দর্শকদের জন্য। সেটা দেখলে নিশ্চয়ই দর্শকরা খুশি হবেন।
সেই মতো রবিবার শেষ পর্ব দেখার জন্য টিভির সামনে বসে পড়েছিলেন খড়কুটো ভক্তরা। আর যে চমকটা এল তার জন্য হয়তো প্রস্তুত ছিল না অনেকেই। যারা অভিযোগ করেছিলেন হ্যাপি এন্ডিং দেখানো হল না কেন, তাদের নিরাশ হতে দিলেন না লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। মরে গিয়েও ফিরে এল গুনগুন!
কীভাবে? শেষ পর্বে দেখানো হয় দীর্ঘ ২৫ বছর এগিয়ে গিয়েছে খড়কুটোর গল্প। গুনগুন সৌজন্যর ছেলে ঈশান ওরফে চাঁদ এখন বড় হয়ে গিয়েছে। একজন নামী অঙ্কোলজিস্ট হয়েছে সে। আর নিজের হাসপাতালে গিয়েই তার দেখা হয় গুনগুনের সঙ্গে। হ্যাঁ, গুনগুন। ভাল নাম স্রোতস্বিনী আর ডাক নাম গুনগুন। শুধু নাম নয়, এই গুনগুনকে দেখতেও হুবহু আগের গুনগুনের মতোই।
একই রকম ছটফটে, প্রাণবন্ত স্বভাব তার। ঈশানের নাম সেও দিয়েছে ‘ক্রেজি’। ঠিক যেমন গুনগুন সৌজন্যকে ডাকত ‘ক্রেজি’ নামে। ঈশান হয়েছে তার বাবার মতোই। দুজনের ঝগড়া শুরু এখন থেকেই। নতুন গুনগুনকে দেখে চোখ ছলছল মুখার্জি পরিবার সহ অনুরাগীদের। এ যেন গুনগুনেরই নবজন্ম হয়েছে।
https://www.instagram.com/reel/ChhWldfhsqO/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আর তৃণা কথা দিয়েছিলেন, গুনগুনের হাসিমুখ দিয়েই শেষ হবে খড়কুটো। সেটাই হল। গুনগুনের মৃত্যু নিয়ে লেখিকা বলেছিলেন, তাঁর মনে হয়েছিল এমন কিছু একটা হলে গুনগুন চিরকাল দর্শকদের মনে থেকে যাবে। জীবন কারোর জন্য থেমে থাকে না। নিজের ছন্দে এগিয়ে চলে। সেটা বোঝাতে সিরিয়ালের শেষ পর্বে একটা বড় টুইস্ট রাখা হয়েছে। দর্শকদের তাই শেষদিন পর্যন্ত পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
গুনগুনকে এভাবে ফিরে পাওয়ার আশা সম্ভবত কেউই করেননি। সেই সঙ্গে খড়কুটো ভক্তরা আশা করছেন, হয়তো নতুন জুটিকে নিয়ে খড়কুটোর একটা সিক্যুয়েল নিয়ে আসবেন লেখিকা। হবে শেষ থেকে শুরু।