বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিবেকানন্দ যুব শক্তির মূর্ত প্রতীক। যুবশক্তিকে দেশের প্রাণশক্তি বলে তিনি মনে করেন। শ্রমজীবীদের তিনি প্রণাম অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জানালেও যুবসমাজকে প্রকৃত বিপ্লবী শ্রেণি বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি তাদের বারবার আহ্বান করেছেন “উদীয়মান যুব সম্প্রদায়ের উপরে আমার বিশ্বাস তাহারাই যথার্থ উন্নতিকল্পে স্মরণ করিবে”
কিন্তু সেই যুব সমাজের অবক্ষয়ের পথে বিভিন্ন নেশাগ্রস্ত জিনিসের প্রতি তাদের আসক্ত এবং ঘিরে ধরেছে যা থেকে তাদের পরিত্রাণের উপায় প্রায় নেই বললেই চলে।
এখন রাজ্যে সপ্তাহে ১ দিন বাধ্যতামূলকভাবে মদের দোকান বন্ধ রাখতে হয়। এই নিয়ম শিথিল করার পথে রাজ্য সরকার। দুদিন আগেই গুটকা বন্ধের জন্য চরম নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যার ফলে সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই মদের দোকান মালিকরা চাইলে সপ্তাহে সাত দিনই তাঁদের দোকান খোলা রাখতে পারবেন। শর্ত একটাই, দোকানের কর্মচারীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে মালিককে। এইখানে উঠছে নানা প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে রাজ্যের আবগারি নির্দেশনালয়ে সিদ্ধান্ত পাকা হয়ে গেলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। সরকারি নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৬ দিন মদের দোকান খোলা রাখা যাবে। হ্যাঁ আর এখানে যদি সাতদিনই খোলা থাকে তবে আয় বাড়বে প্রায় অনেক গুণ। অর্থাৎ আগের মতো সপ্তাহে একদিন মদের দোকান বন্ধ রাখার নিয়ম বলবৎ থাকছে। তবে কোন দিন দোকান বন্ধ রাখা হবে, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দোকানের মালিকের ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই মন্তব্য মদ্যপ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে চরম সুখবর হলেও সমাজের ক্ষেত্রে তা কতটা সুখদায়ক হবে? তিনি তাঁর পছন্দ মতো দিনে এবার থেকে দোকান বন্ধ রাখতে পারবেন। তবে দিনটিকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। এতদিন পর্যন্ত প্রতি বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলকভাবে মদের দোকান বন্ধ রাখতে হয়।ড্রাই’ ডেগুলিতেও দোকান খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি রাজ্য আফগারি দফতরের কাছে আবেদন করেছিলেন মদের দোকানের মালিকরা। আর এই আবেদনের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে সরকার বিশেষত, উৎসবের মরশুমের ড্রাই দিনগুলিতে দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল। এই বছর কালীপুজো এবং দীপাবলি রবিবার পড়েছিল। ওই দিন বহু মদের দোকান বন্ধ ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ম শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।উৎসবের মরসুমে এই ধরনের নিয়মের ফলে বহু আর্থিক ক্ষতি হয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। চলতি বছরেই কৌশিকী অমাবস্যা তারাপীঠে বিপুল পরিমাণমদ বিক্রি হয়।
যদিও নিয়মে এই শিথিলতার নেপথ্যে রাজস্বকেই বড় ফ্যাকটর হিসেবে উল্লেখ করেছেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে মধ্যের উপরেই কেন এত জোর জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে আবগারি নির্দেশনালয়ের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ১০,৫৯০ কোটি টাকা। তার আগের বছর ৯,৩৪০ কোটি টাকা সরকারি ঘরে ঢুকেছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই নিয়ম কি সত্যি বলো কথা হবে যদি হয় তার প্রতিক্রিয়া পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে।