বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড়দিনে বড়সড় বিপত্তি কাটোয়া স্টেশনে। হঠাৎই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্ক ছড়াল গুয়াহাটি-কলকাতা স্পেশাল ট্রেনে। সূত্রের খবর, কাটোয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে গুয়াহাটি থেকে কলকাতা গামী স্পেশাল ট্রেনে একটি এসি কামরা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন যাত্রীরা। গলগল করে ধোঁয়া বেরোনোয় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কাটোয়া স্টেশনে পৌঁছে রেল পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
রেল কর্মীরা কাটোয়া স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রেখে দেড় ঘন্টা ধরে আগুন নেভানোর কাজ করেন। এরপর ট্রেনটি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই দুর্ঘটনার জেরে কোন হতাহতের খবর সামনে আসেনি। তবে আচমকাই ট্রেন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রেল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে ঠিক কি কারনে ট্রেনে আগুন লাগল।
এই স্পেশাল ট্রেনটি রবিবার সকাল নটা নাগাদ গুয়াহাটি স্টেশন থেকে রওনা দেয়। চিৎপুরে পৌঁছানোর কথা ছিল বিকাল তিনটায়। বেলা ১১ঃ৫১ মিনিটে ট্রেনটির কাটোয়া স্টেশনে ঢোকার কথা। এমন সময় এসি কোচের যাত্রীরা পোড়া গন্ধ পান। ট্রেনের যাত্রীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ বি১ ০৭৫১০৫ কোচ থেকে তাঁরা পোড়া গন্ধ পান। এরপর দরজা থেকে মুখ বাড়িয়ে দেখেন যে ধোঁয়া বের হচ্ছে গলগল করে। তখনও যাত্রীরা বুঝতে পারেননি ঠিক কি কারনে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই ধোঁয়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের সকল যাত্রীরা।
ট্রেনটি কাটোয়া স্টেশনে ঢুকলে রেল পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। ততক্ষণে ট্রেনের যাত্রীরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছেন। এরপর প্রায় দেড় ঘন্টা কাটোয়া স্টেশনে রেল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করেন। ট্রেনটি কাটোয়া স্টেশনে বেলা ১২টা ১৬ মিনিট থেকে দুপুরে ১টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিল।
কাটোয়া স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার বর্ণালী বিশ্বাস জানিয়েছেন, ট্রেনের দুটি কামরার মধ্যে অল্টারেশনের জায়গায় কোনরকম যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আগুন লেগে গিয়েছিল। আগুন নেভানো হয়েছে স্পঞ্জ,পাউডার দিয়ে। এরপর ট্রেনটির ফিটনেস পরীক্ষা করিয়ে কলকাতার দিকে রওনা করানো হয়। তবে আর কোন বিপদের আশঙ্কা নেই বলে তিনি যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছেন।