‘মসজিদ ঢেকে মন্দিরকে বড়ো করা হয়েছে, কাশী বিশ্বনাথ করিডর দেখে কান্নায় ভেঙে পরলেন বাংলার নউশাদ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সোমবার অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর ‘শ্রীকাশী বিশ্বনাথ করিডোর’ (Kashi Vishwanath Corridor ) জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। কাশীর বিশ্বনাথ ধামের অপার মহিমা সকলকে মোহিত করেছে। এখন ভক্তরা গঙ্গা ঘাট থেকে সরাসরি এসে বাবার মাথায় জল দিতে পারবেন। যদিও এই করিডোর নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের মনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, এই করিডোর দিয়ে জ্ঞানবাপী মসজিদ ঢেকে গেছে।

সম্প্রতি ‘ইউপি তক’ নামে এক ইউটিউব চ্যানেল এই বিষয় নিয়ে কিছু মানুষের সাথে কথা বলেছেন। যারা মোদীর এই কাজ নিয়ে নানারকম মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বারাণসী পরিবর্তনের বিষয়ে মহম্মদ শাগির বলেন, এই সবই শুধু ভোটের জন্য। কোনো কিছুই বিকশিত হয়নি। আরেকজন ব্যক্তি বিলাল আহমেদ বলেন, পুরো বারাণসী যে বদলে গেছে তা কিন্তু নয়। মন্দির-মসজিদের ঐক্য দেখাতে উন্নয়নের রূপ দেওয়া হয়েছে। হামিদ আনসারি বলেন, শুধু মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে।

এর সাথেই কলকাতা থেকে বারাণসী ঘুরতে যাওয়া এক পর্যটক নওশাদ আলম বলেন, “আমরা কলকাতা থেকে এখানে নামাজ পড়তে এসেছি। আমরা এই অবস্থা দেখে বুঝতে পারছি না যে মসজিদটি সম্পূর্ণ ঢেকে রেখে মন্দিরটিকে এভাবে বিশাল করা হয়েছে। এটা কি? আমি পর্যটক হিসাবে এই কষ্ট অনুভব করতে পারি।” এছাড়া তিনি রেগে গিয়ে আরও কিছু মন্তব্য করে বসেন।

তিনি বলেন, “তুমি দেখছ না? মসজিদ দেখতে পাও? আমি এটা সহ্য করতে পারি না। কি করে আপনি সত্য লুকাতে পারেন? একটা জিনিস ঢেকে রেখে আরেকটা বিশাল করা হল। এটাই হল আমাদের হিন্দুস্তান। এখানে গণতন্ত্র আছে। সংবিধানে বলা আছে সকলের সমান অধিকার রয়েছে। আপনি কারো অধিকার দমন করবেন, এটা কি হয়? এই মসজিদে প্রথমবার নামাজ পড়লাম এবং যে কষ্ট আমি পাচ্ছি, তা আমার ৪০ বছরের জীবনে কখনো পাইনি। এই বলে তিনি কান্না জুড়ে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 1669 সালের 18 এপ্রিল ঔরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংসের আদেশ দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। কলকাতার এশিয়াটিক লাইব্রেরিতে আজও এই ডিক্রি সংরক্ষিত আছে। তৎকালীন লেখক সাকি মুস্তায়েদ খানের লেখা ‘মাসিদে আলমগিরি’-তে এই ধ্বংসের বর্ণনা রয়েছে। 2শে সেপ্টেম্বর 1669 তারিখে, ঔরঙ্গজেবকে মন্দির ধ্বংসের সমাপ্তির কথা জানিয়েছিল।


সম্পর্কিত খবর