বাংলা হান্ট ডেস্ক : সৃষ্টি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত। কিছুদিন পর সেই ঘূর্ণাবর্তই রূপান্তরিত হবে নিম্নচাপে। আগামী ৪ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal) ও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ঝড়-বৃষ্টি হবে। বুধবার ও ৪ তারিখ এই ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বাড়বে। ৫ তারিখের পর থেকে আবার দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। তবে শহর কলকাতাতে (Kolkata) ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা আর উঠবে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ৬ মে দক্ষিণ -মধ্য বঙ্গোপসাগর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। ৮ তারিখ এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office) সূত্রে খবর।
এক নজরে আজকের আবহাওয়া :
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩৪.৫°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২৭.৪° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৬৮%
বাতাস : ১৩ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৮৩%
কলকাতার আবহাওয়া : আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আকাশ আংশিক ভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৩ ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া : উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃ্ষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। তবে কলকাতায় হিটওয়েভের মতো গরম আপাতত পড়ছে না। বৈশাখের দাবদাহের থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে বাংলায়। ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টিতে গরমের প্রকোপ কমেছে অনেকটাই। আর্দ্রতার বাড়বাড়ন্ত না থাকায় কিছুটা আরামেই দিন কাটবে রাজ্যবাসীর। কতদিন পর্যন্ত এমন আরামদায়ক আবহাওয়া থাকবে তা জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া : বুধবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল ও গাঙ্গেয় জেলা -সহ দুই উপকুলবর্তী জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। ৫ মে থেকে কমতে থাকবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে ১১ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোথাও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। শহর কলকাতায় সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ। তবে বেলা বাড়লে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সেই সঙ্গে বাড়বে গুমোট ভাব। বিকেলের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে সোমবারের তুলনায় আজ কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আগামীকালের আবহাওয়া : আইএমডি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে ৬ মে। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার দুদিন পর অর্থার ৮ মে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে তা ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।