বাংলা হান্ট ডেস্ক: যেদিন থেকে হলদিরাম (Haldiram) ব্র্যান্ডের বিক্রির খবর প্রকাশ্যে এসেছে সেদিন থেকেই এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকেই জানতে চাইছেন যে ঠিক কি কারণে এই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এই পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়াল? মূলত, ৮৭ বছরের পুরনো এই ব্র্যান্ডটি দেশের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে অত্যন্ত বিখ্যাত। এই ব্র্যান্ডের স্ন্যাক্স দেশের প্রতিটি প্রান্তেই বিক্রি হয়। এমতাবস্থায়, যে কোম্পানিগুলি এই ব্র্যান্ডটি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড “ব্ল্যাকস্টোন”, আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটি এবং সিঙ্গাপুরের জিআইসি। এই ৩ টিই বিদেশি কোম্পানি। তবে, কেনার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। পাশাপাশি, এই বিষয়ে হলদিরামের তরফেও কোনো প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি।
৭০ শতাংশের বেশি শেয়ার কেনার প্রস্তাব: জানিয়ে রাখি যে, হলদিরাম হল দেশের সবচেয়ে বড় স্ন্যাক্স এবং ফুড কোম্পানি। এই কোম্পানির বিশ্বের একাধিক জায়গায় স্টোর রয়েছে। এদিকে যে ৩ টি কোম্পানি হলদিরামকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা হলদিরামের ৭৪ থেকে ৭৬ শতাংশ শেয়ার চায়। এই ক্রয়টি Blacktone দ্বারা পরিচালিত হবে। বর্তমানে হলদিরামের মোট মূল্য প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা।
এখন থমকে রয়েছে প্রক্রিয়া: হলদিরাম কোম্পানি বর্তমানে ৩ টি সেগমেন্টে ব্যবসা করে। পরিবারের মধ্যেই এই ৩ টি সেগমেন্ট বিভক্ত রয়েছে। পাশাপাশি, এই পরিবারের একটি অংশ কলকাতা থেকে, অন্যটি নাগপুর থেকে এবং তৃতীয়টি দিল্লি থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে। শুধুমাত্র হলদিরামের দিল্লি ও নাগপুরের ব্যবসা এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। এদিকে, কলকাতায় যে পরিবারের কাছে হলদিরামের ব্যবসা রয়েছে তারা সমগ্র দেশে হলদিরামের নামে রেস্তোরাঁ চালায়। তারা এই চুক্তির অংশ হবে না।
আরও পড়ুন: এবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের নজর সরকারি তেল কোম্পানিগুলোতে! বড় প্ল্যান আম্বানির
এদিকে এই মুহূর্তে হলদিরাম এই চুক্তির বিষয়টি “হোল্ড” করে রেখেছে। এই চুক্তিটি ঘটলে, এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট ইক্যুইটি ক্রয় চুক্তি। এর আগে গত বছরও হলদিরামের বিক্রির খবর সামনে এসেছিল। সেই সময়ে জানা গিয়েছিল যে টাটা গ্রুপ হলদিরামের প্রায় ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনতে পারে। যদিও, পরে এই চুক্তি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: মিস হল সুযোগ! লিগ টপার হয়েও বিরাট সম্মান হাতছাড়া KKR-এর, হতাশ শ্রেয়সরা
বিক্রির ৩ টি কারণ:
১. পরিবারের নতুন প্রজন্ম এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
২. পরিবারের নতুন প্রজন্ম কোম্পানির “ডে টু ডে অপারেশন” থেকে নিজেকে আলাদা করেছে।
৩. পরিবারের ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে কাউকে CEO হিসেবে নির্বাচন না করে কে কে চুটানিকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন।