বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভাগ্য খারাপ বিজয় দেবেরাকোন্ডার (Vijay Deverakonda)। তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির স্টার এমন সময়ে বলিউডে পা রাখছেন যখন সম্পূর্ণ টালমাটাল পরিস্থিতিতে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি। দর্শকদের ক্ষোভ আর ফ্লপ ছবিকে সঙ্গী করেই বলিউড সফর শুরু করছেন বিজয়। প্রথমে তাঁর উপরে বিশেষ ক্ষোভ ছিল না নেটিজেনদের। কিন্তু বয়কট সংষ্কৃতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতেই চটেছেন নেটিজেনরা। ছবির টিকিটের আগাম বুকিংয়েও প্রভাব পড়েছে।
২৫ অগাস্ট বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে বিজয় এবং অনন্যা পাণ্ডে অভিনীত ‘লাইগার’। এই ছবির হাত ধরেই বলিউডে পা রাখলেন তেলুগু অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা। ছবির প্রচারে কোনো খামতি রাখেনি টিম। কিন্তু বয়কট সংষ্কৃতির কাছে এই ছবিকেও মাথা নোয়াতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩০০০ স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছিল লাইগার। কিন্তু বেশিরভাগ দর্শক ছবিটি দেখতে আগ্রহী নন। বয়কট বলিউড ট্রেন্ডকে সমর্থন করেই লাইগারকে বাতিল করেছেন অধিকাংশ দর্শকরা। প্রথম দিনের পর ভারতীয় বক্স অফিসে মোট ১৯ কোটি টাকা উঠেছে লাইগারের এর মধ্যে থেকে তেলুগু ভাষী রাজ্যগুলিতেই উঠেছে ১৫ কোটি টাকা।
অথচ বিজয়ের যে বলিউড ডেবিউয়ের জন্য এই উন্মাদনা তৈরি করা হল সেটাই বিফলে গেল। হিন্দি বলয়ে মোটে ১.৭৫ কোটি টাকা উঠেছে প্রথম দিনে। আর গোটা বিশ্বে মোট ৩৩.১২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে লাইগার। মূলত তেলুগুতেই ছবিটি যা ব্যবসা করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা, কারণ ওটা বিজয়ের নিজস্ব অনুরাগী মহল।
এছাড়া না দর্শক, না ফিল্ম সমালোচক কোনো পক্ষেরই বিশেষ পছন্দ হয়নি লাইগার। পরপর যেভাবে ছবি মুখ থুবড়ে পড়ছে তাতে ক্ষুব্ধ হল মালিকরাও। মরাঠা মন্দির সিনেমা এবং গেইটি গ্যালাক্সির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনোজ দেশাই রীতিমতো তুলোধনা করেছেন বিজয়কে।
বয়কট ট্রেন্ড নিয়ে মন্তব্য করায় বিজয়কে তিনি ‘অহংকারী’ এবং ‘অ্যানাকোন্ডা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “বেশি সাহস দেখিয়ে কেন ছবি বয়কট করতে বলছেন? মানুষ OTT তেও দেখবে না। আপনার এই ধরণের ব্যবহার আমাদের বিপদে ফেলছে, টিকিটের আগাম বুকিংয়ে প্রভাব ফেলছে। আপনি একটা অ্যানাকোন্ডা। বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি।”
অক্ষয় কুমার, আমির খান, তাপসী পন্নুর মন্তব্যের ফলাফল দেখিয়ে তিনি আরো বলেছেন, ছবিটা নিয়ে তাঁর অনেক আশা ছিল। কিন্তু এই ধরণের মন্তব্য ভয়াবহ প্রভাব ফেলে ছবিতে। কারোর এমনটা করা উচিত নয়। আগামীতে বিজয়ের কপালে কী নাচছে তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন ছবি নির্মাতারা।